গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বিএনপি-জামায়াত একসঙ্গে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমমনা জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন।

জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব কমাতে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এমন কোনো দূরত্বের কিছু নেই। তারাও গণতন্ত্র চায়, নির্বাচন চায়। মানুষের অধিকারের কথা বলে, আমরাও বলি, কিন্তু যদি কেউ বলে, শুধু তারাই দেশপ্রেমিক, তাহলে তো আমাদের কষ্ট লাগবেই। আমরা তো বলব, ভাই কথাটা ঠিক না। আমরা সবাই দেশপ্রেমিক। আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি, তারপর যদি বলেন শুধু আপনি দেশপ্রেমিক, আপনার আরেক বন্ধু দেশপ্রেমিক। তাহলে তো আমাকে বাদ দিলেন আপনি। এটা তো কষ্ট লাগার কথা। আমরা আশা করব, এ রকম কথা কেউ না বলুক।’

তিনি বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে ফরমালি যুগপৎ আন্দোলনে আমরা ছিলাম না। তাদের কর্মসূচি আমাদের কর্মসূচি এক রকম ছিল না, কিন্তু তারা আন্দোলনে ছিলেন। নিশ্চয়ই আগামী দিনে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সবাই আমরা থাকব, তারাও থাকবে। এটা নিয়ে কনফিউশনের কিছু নেই।’

বৈঠকে অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম, এনডিপির চেয়ারম্যান আবু তাহের, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি নাসিম খান, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাস ও জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এস এম শাহাদাত।