গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনকে তামাকমুক্তকরুন ও তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম শক্তিশালী করুন বিষয়ক আলোচনা সভা অনুস্ঠিত হয়। শনিবার দুপরে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব নমিতা দে। ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দি রুরাল পূয়র (র্ডপ) এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে সভায় সভাপতিত্ব করেন র্ডপ-এর উপদেষ্টা ও অবসরপ্রাপ্ত সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আজহার আলী। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডরপ-এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর রুবিনা ইসলাম। বক্তব্য রাখেন সিটিএফকেপ্রোগ্রামস ম্যানেজার মোঃ আব্দুস সালাম মিয়া।
প্রধান অতিথি নমিতা দে বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে তামাকপণ্যের আমরা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। এখন থেকে আরও জোরেসোরে তামাকমুক্ত সিটি কর্পোরেশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। তামাকের বিজ্ঞাপন এখন অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। তামাকের ব্যবহার বিভিন্ন কর্মশালার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
সভায় জানানো হয়, দেশে প্রতিদিন ৪শ’৪২ জনের চেয়েও বেশি মানুষ তামাক ব্যবহারজনিত কারণে মারা যায়। তামাকের ধোয়ায় ৭০০ বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মানবদেহে প্রায় ৭০টি ক্যান্সার সৃষ্টি করে। তামাক সেবনের কারণে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার, হৃদরোগ, ফুসফুসের দীর্ঘ মেয়াদী রোগ (অ্যাজমা, বা হাঁপানি), ডায়াবেটিস, বার্জার ডিজিজসহ (পায়ের পচন রোগ) বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ হয়ে থাকে। তামাক সেবনে হাড়ের ঘনত্ব কমায়, দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি হয়। তামাক সেবনকারীদের মুখের ক্যান্সারের ঝুকি দ্বিগুন বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশে পাবলিক প্লেসে এবং পাবলিক পরিবহনে (রেস্টুরেন্টে ৪৯.৭%, পাবলিক পরিবহনে ৪০%, কর্মক্ষেত্রে ৪২.৭% এবং বাসাবাড়িতে ৩৯%) পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। প্রত্যক্ষ ধূমপানের পাশাপাশি পরোক্ষ ধূমপানও সমান ক্ষতি কর। ২০১৮-১৮ অর্থ বছরে চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারনোসহ তামাক ব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কিত সরাসরি অর্থনৈতিক ক্ষতি ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। একই সময়ে তামাক খাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয় ২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। তামাক চাষ ৩০% বন ধ্বংসের জন্য দায়ী। এ ছাড়াও খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তামাক হুমকি স্বরুপ।