সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর এই সফরকে ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। তারা মনে করছেন, বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ, শ্রমবাজারের নতুন দিগন্ত উন্মোচন এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে দেশের অবস্থান শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষ করে, মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের বিনিয়োগ ও জনশক্তি রপ্তানির সম্ভাবনা বাড়ানোর ক্ষেত্রে এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

ড. ইউনূস আগামী ১১-১৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিট ২০২৫-এ অংশ নেবেন, যেখানে বিশ্বের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রযুক্তি, অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ভবিষ্যৎ নিয়ে মতবিনিময় করবেন। সম্মেলনে ৩০টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, ১৪০টি দেশের প্রতিনিধি এবং শতাধিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীরা অংশ নেবেন। প্রবাসীরা মনে করছেন, ড. ইউনূসের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থানকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে। তাঁর আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বনেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্কের ফলে বাংলাদেশ লাভবান হতে পারে বলে আশা করছেন অনেকে।

বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, ইউএই-এর সভাপতি মামুনুর রশিদ বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিট শেষে বাংলাদেশ ও আমিরাতের মধ্যে বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে, যা আমাদের শ্রমবাজার এবং বিনিয়োগের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।” জিয়া পরিষদ আরব আমিরাতের আহবায়ক মোস্তফা মাহমুদ বলেন “দক্ষ জনশক্তি থাকা সত্ত্বেও মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারে বাংলাদেশ এখনও কাঙ্ক্ষিত মর্যাদা পায়নি। ড. ইউনূসের মতো একজন বিশ্বস্বীকৃত ব্যক্তিত্ব এই বাস্তবতা পরিবর্তনের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারেন।”

বাংলাদেশিদের ভিসা সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার বিষয়। ড. ইউনূসের সফরের মাধ্যমে এই ইস্যুতে অগ্রগতি হতে পারে বলে আশা করছেন প্রবাসীরা। সংযুক্ত আরব আমিরাত বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন বলেন,
“ড. ইউনূসের কূটনৈতিক দক্ষতা কাজে লাগিয়ে শ্রমবাজারে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বাংলাদেশের শ্রম খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়ক হতে পারে।”

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই সফর বাংলাদেশকে নতুন সুযোগ এনে দিতে পারে। প্রবাসীরা আশাবাদী যে, তাঁর আন্তর্জাতিক সংযোগ ও কূটনৈতিক অভিজ্ঞতা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং শ্রমবাজার সম্প্রসারণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এখন দেখার বিষয়, এই সফরের বাস্তবিক ফলাফল কতটা ইতিবাচক হয়।

এসএম মোদাচ্ছের শাহ