যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা-ইউএসএআইডি’র মহাপরিদর্শক পল মার্টিনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ইউএসএআইডির এক কর্মকর্তা মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, পল মার্টিনকে গতকাল বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি অবহিত করতে তাকে একটি ই-মেইলও দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ইউএসএআইডির মহাপরিদর্শকের দপ্তর থেকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের এক দিন পরই পল মার্টিনকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসনের নানা পদক্ষেপ ইউএসএআইডির সক্ষমতাকে পঙ্গু করে দিয়েছে। ফলে সংস্থাটি প্রায় ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের অব্যয়িত সহায়তার সঠিক তদারকি করতে পারছে না।
প্রসঙ্গত, এর আগে জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউএসএআইডির ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে এ সংস্থাটি ভেঙে দিতে চান।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে সংস্থাটির মহাপরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন পল মার্টিন। এই পদের জন্য মার্কিন সিনেটরের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। তাকে এভাবে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় এক ধরনের নাজুক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানা যায়। এ কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা মার্টিনের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেন।
এদিকে প্রেসিডেন্টের অফিস অব পার্সোনেলের ডেপুটি ডিরেক্টর ট্রেন্ট মোর্সের পক্ষ থেকে ই-মেইল করে মার্টিনকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি অবহিত করা হয়।
ওই ই-মেইলে বলা হয়েছে, ইউএসএআইডির মহাপরিদর্শক হিসেবে মার্টিনকে তার পদ থেকে ‘অবিলম্বে কার্যকরভাবে’ বরখাস্ত করা হয়েছে।
তবে, মার্টিনকে বরখাস্তের বিষয়ে ই-মেইলে কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসও এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার মন্তব্য করেনি।
অপরদিকে গত সোমবার ইন্সপেক্টর জেনারেলের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউএসএআইড ভেঙে দেওয়ার মাধ্যমে ৮.২ বিলিয়ন ডলারের অব্যয়িত সাহায্যের তদারকি করার ক্ষমতাকে পঙ্গু করে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কর্মী ছাঁটাই এবং কাজ বন্ধের আদেশের ফলে করদাতাদের অর্থায়নে প্রাপ্ত সাহায্য তাদের হাতে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইউএসএআইডকে ‘অযোগ্য এবং দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প। ওই সময় তিনি সংস্থাটির বিস্তৃতি কমিয়ে আনার দায়িত্ব দেন ধনকুবের ইলন মাস্ককে।
উল্লেখ্য, বিশ্ব জুড়ে ইউএসএআইডির ১০ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছে। ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রেই কর্মরত ৬০০ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।