খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্র হাতে ভাইরাল সেই যুবদল নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ওই নেতার নাম মাহবুবুর রহমান। তিনি খুলনার দৌলতপুর থানা যুবদলের সহ-সভাপতি।

আজ বুধবার জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনা জেলা শাখার দৌলতপুর থানা যুবদলের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার কোনো অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না।যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের জেরে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন।

কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রদল রাজনীতি করার পক্ষে, আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজনীতির বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় এ সংঘর্ষ শুরু হয় বলে জানা গেছে।

আরও জানা গেছে, কুয়েট ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি এখন থমথমে। বুধবার সকাল থেকেই ক্যাম্পাসের ফটকের চারপাশে অবস্থান নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। অনেক শিক্ষার্থী আবাসিক হল ছাড়ছেন।

কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগসহ পাঁচ দাবি না মানা পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণাও দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে আজ দুপুরে কুয়েটের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে খুলনা প্রেসক্লাবে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতার উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।