রাজশাহীতে এক মাদক কারবারির স্ত্রীর ঘরে পুলিশের একজন সহকারী উপ পরিদর্শককে (এএসআই) পেয়ে লাঠিপেটা করেছে স্থানীয় লোকজন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার সাতবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে এএসআইকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়।

জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে ওই মহল্লার এক নারীর ঘর থেকে স্থানীয়রা সোহেল রানা নামের ওই এএসআইকে আটক করে। পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে তাকে লাঠিপেটা করা হয়। মারধর করা হয় ওই নারীকেও। এর ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সোহেল রানা রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) চন্দ্রিমা থানায় কর্মরত।

ভিডিওতে দেখা গেছে, স্থানীয়রা ওই নারী এবং এএসআইকে নানা জেরা করছে। জেরার ফাঁকে ফাঁকে লাঠি দিয়ে পেটানোও হচ্ছে। ওই নারীকে এ সময় বলতে দেখা যায়, ‘প্রচুর মেরেছে, প্রচুর।’ আর এএসআই সোহেল রানাকে বলতে দেখা যায়, ‘আমি কলমা করে বিয়ে করেছি।’ জেরার মুখে তিনি জানান, তার গ্রামের বাড়ি বগুড়া। সেখানে তার স্ত্রী-সন্তান আছে। এই নারীকে তিনি ‘কলমা করে’ বিয়ে করেছেন। তবে ঘরে উপস্থিত ওই নারীর স্বামী বলতে থাকেন, ‘স্ত্রীর সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদই হয়নি। ’ তবে ওই নারী বলতে থাকেন, ‘স্বামীকে তিনি মুখে মুখে তালাক দিয়েছেন।’

স্থানীয়দের অভিযোগ, এই নারীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন এএসআই সোহেল রানা। তাকে ঘরে আটকে রেখে থানায় খবর দেওয়া হয়। অল্প বয়সী কয়েকজন লাঠি দিয়ে এএসআইকে পেটায়। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ তাকে নিয়ে যায়।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, এএসআই সোহেল রানা ওই নারীকে তিনটি অটোরিকশা কিনে ভাড়া দিয়ে রেখেছিলেন। সোহেল মাঝে মাঝে ওই নারীর কাছ থেকে ভাড়ার টাকা নিতে যেতেন। গতকাল রাতেও নাকি তিনি ভাড়ার টাকা আনতে গিয়েছিলেন। লেন। বিষয়টি নিয়ে আমাদের তদন্ত কাজ চলছে। ’