গাজীপুরে দাম্পত্য কলহের জেরে পোশাক শ্রমিক এক নারীকে হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করেছে তার স্বামী। পুলিশ মহানগরীর মোগড়খাল এলাকার তালাবদ্ধ ভাড়া বাসা থেকে লেপ-তোষক দিয়ে পেঁচানো ওই নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে। এঘটনায় নিহতের স্বামীকে বুধবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাসন থানার ওসি শাহীন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত রত্না আক্তার (২১) সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থানার বেলতলা গ্রামের মোতালেব মিয়ার মেয়ে। নিহতের গ্রেফতারকৃত স্বামী শামীম শেখ (২৫) একই থানার পাঙ্গাসি গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় চার বছর আগে রত্না আক্তারের সাথে শামীমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর নিঃসন্তান এ দম্পতি গাজীপুর মহানগরীর মোগড়খাল এলাকার জনৈক লাভলী বেগমের বাড়িতে দুই বছর ধরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। রত্না স্থানীয় টেক্স ইউরো ডিজাইন লিমিটেড নামের পোশাক কারখানার চাকরি করতেন এবং শামীম এলাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন।
বাসন থানার এসআই আবু সাঈদ বলেন, মঙ্গলবার রাতে ওই দম্পতির ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে বাসন থানায় খবর দেয় প্রতিবেশিরা। পরে রাত দেড়টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের দরজার তালা ভেঙ্গে লেপ-তোষক দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় হাত-পা বাঁধা রত্নার গলা কাটা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। এসময় লাশের পাশ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বটি জব্দ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর স্বামী পালিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে সিরাজগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পাষন্ড স্বামী শামীম শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে তিনদিন আগে স্ত্রী রত্নাকে বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। পরে স্ত্রীর লাশ লেপ-তোষক দিয়ে মুড়িয়ে ঘরে ফেলে রেখে বাহির থেকে দরজা তালবদ্ধ করে পালিয়ে যায় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শামীম শেখ পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।