এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অংশ নিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে সিঙ্গাপুর জাতীয় ফুটবল দল। আগামী মঙ্গলবার স্বাগতিক বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে দলটি। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে তারা।

৪২ সদস্যের বিশাল বহর নিয়ে ঢাকায় এসেছে সিঙ্গাপুর। এর মধ্যে ২৩ জন খেলোয়াড় ও বাকি ১৯ জন টেকনিক্যাল স্টাফ ও কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত। তবে সফরকারী দলের আবাসন ও অন্যান্য খরচ বহন করতে হচ্ছে না বাফুফেকে। স্বাগতিক হিসেবে কেবল বাসের মাধ্যমে লজিস্টিক সহায়তা দিচ্ছে সংস্থাটি।

বাংলাদেশের মতো প্রস্তুতিতে ঘাটতি রাখেনি সিঙ্গাপুর। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে ম্যাচ শুরুর ৪৮ ঘণ্টার কিছু আগেই ঢাকায় পা রেখেছে তারা। সোনারগাঁও হোটেলে অবস্থান করবে সফরকারীরা। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে ম্যাচের আগে মালদ্বীপের সঙ্গে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছে সিঙ্গাপুর, যেখানে তারা ৩-১ গোলের জয় পেয়েছে।

বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল ১৯৭৩ সালে, মালয়েশিয়ার মারদেকা কাপে। কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে কাজী সালাহউদ্দিনের গোলে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত ১–১ গোলে ড্র হয় ম্যাচটি। এরপর একই বছর সিঙ্গাপুরে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। প্রথমটিতে জয়, দ্বিতীয়টিতে হার। ২০০৭ সালে মারদেকা কাপে আবার দেখা হলেও সেটি ছিল বাংলাদেশ ‘বি’ দল বনাম সিঙ্গাপুর অনূর্ধ্ব–২৩ দলের ম্যাচ।

সবশেষ ২০১৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ফিফা প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশ ১-০ এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হারে। সেই ম্যাচে খেলা জামাল ভূঁইয়া, তপু বর্মণ ও সোহেল রানা আছেন এবারের দলেও। তাদের অভিজ্ঞতায় ভর করেই লড়বে নবীনদের নিয়ে গড়া বাংলাদেশ।

‘ডি’ গ্রুপে বাংলাদেশের পাশাপাশি রয়েছে ভারত ও হংকং। প্রথম ম্যাচে দু’দলই গোলশূন্য ড্র করায় এই ম্যাচটি হতে যাচ্ছে অতি গুরুত্বপূর্ণ। জয়ের বিকল্প নেই কারও জন্যই।

আজ রবিবার বিকেলে উত্তরার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন মাঠে অনুশীলন করবে সিঙ্গাপুর দল। বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয়ে অনুশীলন চলবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত। এরপর ম্যাচের আগের দিন ৯ জুন নির্ধারিত ভেন্যুতে বিকেল পৌনে ৬টা থেকে পৌনে ৭টা পর্যন্ত অনুশীলন করবে সফরকারীরা।

দলের আগমন ও প্রস্তুতি সিঙ্গাপুরের সিরিয়াস মনোভাবেরই প্রতিফলন। হামজাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল এবার ঘরের মাঠে জয়ের প্রত্যাশা করলেও, চ্যালেঞ্জ যে কঠিন হবে, তা বলাই বাহুল্য।