image_50075.gol tableসাবেক রাষ্ট্রদূত ও ঢাকা ফোরামের সদস্য সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশে যে গণতান্ত্রিক সংকট চলছে, তা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হচ্ছে দ্রুত আরেকটি নতুন নির্বাচনের আয়োজন করা। যত দ্রুত এটি করা যাবে, বাংলাদেশের জন্য ততই মঙ্গল।
তিনি বলেন, আমরা ইরাক না, আফগানি¯ত্মান না, পাকি¯ত্মান না-এটা আমাদের জন্য বড় আশীর্বাদ। কিন্তু রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান না হলে বাংলাদেশও এসব দেশের পর্যায়ে পৌঁছে যাবে বলে আমার আশঙ্কা। এভাবে দেশ চলতে পারে না।
আজ শনিবার রাজধানীতে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ভবনে ‘সংকটকালে বাংলাদেশ (বাংলাদেশ অ্যাট আ ক্রসরোড)’ শীর্ষক ঢাকা ফোরাম নামে একটি নাগরিক সংগঠন আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা ফোরামের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, জনগণের কম ভোটে আসা ক্ষমতাসীন দল একটা বার্তা দিচ্ছে যে আমাকে টেনে নামাতে না পারলে আমি চলব। আগে বলা হয়েছিল, নির্বাচনের পর সংলাপ হবে। এখন বলা হচ্ছে, এ সরকার পাঁচ বছরই থাকবে। রাজনৈতিক এই বার্তাই একধরনের সংকট তৈরি করছে। আমার মনে হয় দেশে সংলাপজনিত খেলা চলছে। নির্বাচনের আগেও হয়েছে, এখনো হচ্ছে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মইনুল হোসেন বলেন, বলা হয়েছে, সংবিধান রক্ষার নির্বাচন। সেটি করতে গিয়ে আসলে ভোটারবিহীন নির্বাচন করা হয়েছে। আমাদের বোকা মনে করা হচ্ছে। এই ভোটারবিহীন নির্বাচন করার জন্যই সংবিধানের ১৫তম সংশোধনী আনা হয়েছে। নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারের বিষয়টিকে তামাশা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কিছু কিছু সমস্যা আছে, যেগুলো দীর্ঘ মেয়াদে সমাধান করতে গেলে সব শেষ হয়ে যায়। অর্থনীতির অনেক বিষয় আছে যেগুলো দীর্ঘ মেয়াদে সমাধান করতে গেলে অর্থনীতিই ধ্বংস হয়ে যাবে। রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রেও তাই।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মাহবুব জামিল বলেন, সংবিধানের জন্য মানুষ, না কি মানুষের জন্য সংবিধান-সেটিই এখন ঠিক নেই। তা ঠিক থাকলে সংবিধানের অজুহাত দিয়ে জনগণকে ছাড়াই দেশে নির্বাচন হতে পারত না।