ukrain-p_71734অনলাইন ডেস্ক, ২৩ ফেব্রুয়ারি: প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তের পর পার্লামেন্টে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে আগামী ২৫শে মে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এই সিদ্ধান্তের পরই কারাবন্দী বিরোধী নেত্রী ইওলিয়া টিমোশেঙ্কোকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
দুই বছরেরও বেশি সময় কারাবাসের পর মুক্তি পেয়ে টিমোশেঙ্কো প্রথমেই যান ইন্ডিপেন্ডেন্স স্কয়ারে, যেখানে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী তাকে স্বাগত জানায়।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির দায়ে ২০১১ সালে কারাবন্দী হওয়া ইওলিয়া টিমোশেঙ্কোকে মুক্তি পেয়ে যখন রাজধানী কিয়েভের ময়দানে পৌঁছান তখন শ্লোগান দিয়ে উঠে মানুষ।
অবশ্য তিনি সেখানে যাওয়ায় বিরক্তও হয়েছেন অনেক বিক্ষোভকারী। কেননা তারা মনে করেন যে, তিনি তাদের প্রকৃত প্রতিনিধি নয়।
আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকভিচ অজ্ঞাত এক জায়গা থেকে রেকর্ডেড এক বার্তায় জানিয়েছেন তিনি ক্ষমতা থেকে সরে যাবেন না।
পার্লামেন্টে ভোটাভুটির আগে তিনি টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে তার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান হিসেবে উল্লেখ করেন। পার্লামেন্টের এই সিদ্ধান্তকে তিনি বেআইনি বলেও উল্লেখ করেছেন। মি. ইয়ানুকোভিচ দাবি করেন, তিনিই ইউক্রেনের বৈধ প্রেসিডেন্ট।
বিরোধীদের কার্যক্রমকে তিনি ১৯৩০ সালে জার্মানিতে নাৎসী বাহিনীর উত্থানের সাথে তুলনা করেছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা অনলাইন