1দৈনিক বার্তা:ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থলিয়ারা গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে টানা চতুর্থ দিনের মত সংঘর্ষ চলছে। সংঘর্ষের সময় দাঙ্গাবাজরা ১০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ৩০ বাড়িঘর ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ কমপক্ষে অর্ধশত লোক আহত হয়েছে।  এসব ঘটনায় গ্রামবাসী পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে।প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসী জানায়, বুধবার থলিয়ারা গ্রামের সরুজ সরকারের গোষ্ঠীর মোসালি ও কেরামত সরকারের গোষ্ঠীর আবুল কালামের মধ্যে  ৬ শতাংশ জমির মালিকানা নিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে তা সংঘর্ষের রূপ ধারণ করে। এর পর থেকে থেমে থেমে দু’গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চলতে থাকে। এর জের ধরে মোসালির মিয়ার স্কুল পড়ুয়া কন্যাকে বৃহস্পতিবার স্কুলে লাঞ্ছিত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এরপর গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গত শুক্রবার রাতেই গ্রামের ৫/৬টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। শনিবার ফের সকাল থেকেই উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সংঘর্ষে শুরু হয়। শনিবারের সংঘর্ষে যোগ দেয় পার্শ্ববর্তী রাজঘর গ্রামের লোকজন। এতে ভয়াবহ আকার ধারণ করে সংঘর্ষ। সংঘর্ষের সময় ৫/৬টি বাড়ি আগুনে পোড়ানো হয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, থলিয়া গ্রামের পূর্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়েছে সংঘর্ষ। শত শত লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে। সে সাথে চলছে ভাংচুর। থলিয়ারা গ্রামের হাফসা বেগম জানান, লাঠিয়ালরা তাদের বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। মোবাইল ফোন সহ বাড়ির মালামাল লুট করেছে। সুরমা আক্তার জানান, হুমকি দেয়া হয়েছে বাড়ি থেকে মেয়েদের ধরে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর থেকে তারা স্থানীয় মাদ্রাসায় আশ্রয় নিয়েছে। শাহানা বেগম বলেন, তার আলমারি ভেঙ্গে সকল মালামাল নিয়ে গেছে। ভয়ে এক বৃদ্ধ মহিলা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রব জানান, সামান্য বিষয় নিয়ে গোষ্ঠী-গত সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ চেষ্টা করছে। এদিকে গ্রামের বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেছেন, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় টানা ৪ দিন ধরে গ্রামে সংঘর্ষ চলছে। সংঘর্ষে জড়িত থাকায় ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের জন্য অর্ধশত রাউন্ড টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। তবে এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রামের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছিল। থলিয়ারা বাজারের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সর্দার তাজ মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, আমরা এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছি।