2দৈনিক বার্তা  :নির্বাচন কমিশনার মো.শাহনেওয়াজ বলেছেন,শেষ পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনে সেনাবাহিনী শুধু স্টিয়ারিং ফোর্স হিসেবেই নয়, যখন যে পরিস্থিতির উদ্ভব হবে তখন সেই পরিস্থিতি অনুয়ায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নির্বাচনে মানুষ যেন ভীতিকর না হয়ে পড়ে  সেজন্য পরিবেশ  তৈরিতে সংশি¬ষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর  জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে  জেলার চার উপজেলার অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ১৯ মে রংপুর সদর, কাউনিয়া, পীরগাছা ও গঙ্গাচরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী  চেয়ারম্যান, মহিলা ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

শেষ দফার উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে  সেনাবাহিনীর যা যা করা দরকার তাই করবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে  কেউ দলীয় পরিচয় ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা  নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ। শাহনেওয়াজ বলেন, এটা  স্থানীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে কেউ রাজনৈতিক বা দলীয়ভাবে নির্বাচন করতে পারবে না। যদি কেউ রাজনৈতিক পরিচয়ে কিংবা ক্ষমতার অপব্যবহার করার চেষ্টা করে। তার বিরুদ্ধে সব বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। দুর্গম চর এলাকা এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ডিসি ও স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া আছে। তারা যেকোনো পদক্ষেপ নিয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু করবে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইসি বলেন, রংপুর বিভাগে বিশেষ করে রংপুর অঞ্চলে কোনো রকম সমস্যা ছাড়াই বিগত নির্বাচনগুলো  শেষ হয়েছে।  শেষ পর্যায়ের নির্বাচনটিও ভালোভাবে শেষ করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

যারা আইন জটিলতার কারণে শপথ নিতে পারেনি আইন অনুযায়ী পূর্ববর্তী নির্বাচিতরাই তার দায়িত্ব পালন করবেন বলেও জানান তিনি।এসময় তিনি বলেন, চরাঞ্চলের  যেসব দূর্গম ভোট কেন্দ্র রয়েছে,  গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেখানেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা হবে। অতীতে রংপুরে শান্তিপূর্ণ  ভোট হয়েছে, এবারও তাই হবে।

রংপুরের জেলা প্রশাসক ফরিদ আহম্মেদের সভাপতিত্বে রংপুর বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির,র‌্যাব-১৩ কর্মকর্তা মনোয়ার মাহবুব, পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাকসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী এবং প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চারটি উপজেলায়  মোট  ভোট  কেন্দ্র ২৮৭ টি। যার মধ্যে দূর্গম চরে রয়েছে ১৯টি এবং ভোটার সংখ্যা ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৬৯৪ জন।

নির্বাচনে  চেয়ারম্যান পদে ৩৫ জন, পুরুষ ভাইস  চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৮ জন প্রার্থী লড়ছেন।

৬ষ্ঠ দফায় আগামী ১৯  মে ১৩টি উপজেলায়  ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।  যে ১৩টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে  সেগুলো হলো- রংপুরের কাউনিয়া, সদর, গঙ্গাচড়া, পীরগাছা, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ, বরগুনার তালতলি, রাজবাড়ীর কালুখালী, নারায়ণগঞ্জের বন্দর,গাজীপুরের সদর, টাঙ্গাইলের বাসাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, কুমিল¬ার আদর্শ সদর ও কুমিল¬া সদর দক্ষিণ।এছাড়াও ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা পরিষদের  চেয়ারম্যান পদ শূন্য হওয়ার ওই একই তফসিলে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।৬ষ্ঠ দফা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেষ হতে যাচ্ছে ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।

এদিকে,ভোটার তালিকা হালনাগাদে সহযোগিতা ও পরামর্শ গ্রহণে বাংলাদেশে কর্মরত  বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার  রাজধানীর আগাঁরগাওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এ  বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ইসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, হালনাগাদ ভোটার তালিকার বিষয়ে প্রচারণা ও জন সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কমিশনের সঙ্গে নিবন্ধিত এনজিও প্রতিনিধিদের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব সিরাজুল ইসলাম। বৈঠকে ইসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন।