11দৈনিক বার্তা : চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ষষ্ঠ ও শেষধাপে ১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতীহিনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। নির্বাচনের কারণে সংশ্লিষ্ট উপজেলায়  সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় অনুমোদনহীন যানবাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকছে। তবে নির্বাচন কমিশনের স্টিকারযুক্ত যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
সিইসি গত ১৬ মার্চ ৬ষ্ঠ দফায় ১৪ উপএজলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তবে আইনী জটিলতার কারণে পটুয়াখালীর রাঙাবালী ও নারায়নগঞ্জ বন্দর উপজলার নির্বাচন হচ্ছে না। সোমবার যেসব উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে সেগুলো হলো, রংপুর সদর, কাউনিয়া, গঙ্গাচরা, পীরগাছা, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ, বরগুনার তালতুলী, রাজবাড়ীর কালুখালী, গাজীপুর সদর, টাঙ্গাইলের বাসাইল, বিবাড়িয়ার বিজয়নগর, কুমিল্লার আদর্শ সদর ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ। এরমধ্যে বি-বাড়িয়ার বিজয়নগর ও বরগুনার তালতুলী নবগঠিত উপজেলায় প্রথমবারের মতো ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ষষ্ঠ ধাপে মোট ১৮২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৯ জন। ১৩টি উপজেলা মোট ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ১৩৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ১৫ হাজার ৮৭ জন। নারী ভোটার ৯ লাখ ৩০ হাজার ৪৬ জন। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৭৪৬টি, মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ৪ হাজার ৯৩০টি।
শেষ ধাপের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ইসি। ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশন সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শনিবার মধ্যরাত থেকে সব ধরনের মিছিল-মিটিংসহ প্রচারণা বন্ধ করা হয়েছে। তা ভোটগ্রহণের ৬৪টি ঘণ্টা পর্যন্ত বহাল থাকবে। আগের তুলনায় প্রতিকেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ২০ হাজার সদস্য নির্বাচনী এলাকায় মোতায়েন রয়েছে। নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে ইসি। তারা নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া শনিবার সকাল থেকে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানো হয়েছে। তারা মোট ৫ দিন নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন।