ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া।

দৈনিক বার্তা – সুইস ব্যাংকে সরকারের লোকজনের পাচার করা সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার তথ্য ঢাকতে সরকার মিডিয়ায় হস্তক্ষেপ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া।

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধের নতুন অপচেষ্টার প্রতিবাদে মানবাধিকার কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার পরিষদ।  রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, সুইস ব্যাংকে কারা টাকা পাচার করছে এই তথ্য যাতে করে বের না হতে পারে সে জন্যই কালো আইন করছে সরকার। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ, ফেনী ও কালশীর হত্যাকাণ্ড যাতে করে প্রচার না হয় সেই জন্য সরকার মিডিয়ার জন্য কালো আইন করছে।

সরকারকে স্বৈরাচারী উল্লেখ করে রফিকুল বলেন, বিশ্বের কোথাও এমন নজির নেই সংসদে বিরোধী দলের প্রধান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এবং তার স্ত্রী সংসদের বিরোধী দলের নেতা। এটা সম্পূর্ণ সংবিধানপরিপন্থী। আর এই সত্য কথাটা এরশাদের ভাই জি এম কাদের বলেছেন। তিনি বলেন, ১৯৭২-৭৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকার কালো আইন করে চারটি পত্রিকা রেখে বাকি পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে বাকশাল কায়েম করেছিল। শেখ হাসিনা আবার তার পিতার কালো আইন পুনরুজ্জীবিত করছেন। আওয়ামী লীগের অতীত ইতিহাস হলো, ভিন্ন মতকে সহ্য করতে না পারা। কিছু পত্রিকা রেখেছিল যাতে করে সরকারের সুনাম করে।

সরকারের কেউ কেউ বলেন ২০২১ সাল পযর্ন্ত তারা ক্ষমতায় থাকবে অপরদিকে কেউ কেউ বলেন ২০১৪ সালে ক্ষমতায় থাকবে। আমি তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, কোনো সরকারই চিরস্থায়ী নয়। সরকার পরিবর্তন হবেই। আপনারাও চিরকাল ক্ষমতায় থাকবেন না। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর রফিকুল ইসলাম মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ ও স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মো. রহমতুল্লা প্রমুখ।