Kamaruzzaman
দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৪ নভেম্বর:
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃতু্যদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে৷মঙ্গলবার দুপুর ২টা ১০মিনিটে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করে৷কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন৷কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারাগারে স্থান সংকুলান না হওয়ায় নিরাপত্তার স্বার্থে কামারুজ্জামানকে কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে৷

কাশিমপুর কারাগারের জেলার ফরহাদ হোসেন জানান,মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়ার জন্যে তাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে বের করা হয়৷ এ সময় পুলিশের তিনটি পিকআপ নিরাপত্তার স্বার্থে গাড়ির পাশে পাশে ছিল৷ সোমবার কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ট্রাইবু্যনালের দেওয়া মৃতু্যদণ্ডাদেশ বহাল রেখে রায় দেয় আপিল বিভাগ৷কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার জান্নাতুল ফরহাদ জানান, ‘ঊধর্্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে আসামি কামারুজ্জামানকে ঢাকায় পাঠানো হয়৷ নিরাপত্তাজনিত কারণে উপরের নির্দেশেই তাকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে৷এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেসার আলম বলেন, অনেক সময় প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে আসামিদের স্থানান্তর করা হয়৷

ট্রাইবু্যনালের দেওয়া সর্বোচ্চ সাজার আদেশের বিরুদ্ধে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের আপিলের রায়ে সোমবার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখে সর্বোচ্চ আদালত৷রায়ের পর রাতেই তাকে কাশিমপুরের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে স্থানান্তর করা হয় কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে৷ এরপর মঙ্গলবার আবার তাকে ঢাকায় পাঠানো হলো৷কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, হাইসিকিউরিটি কারাগারে ফাঁসির দণ্ড পাওয়া হুজি নেতা মুফতি হান্নান ছাড়াও সৌদি রাষ্ট্রদূত খালাফ হত্যা মামলার আসামি ও বিশ্বজিত হত্যা মামলার আসামিসহ মৃতু্যদণ্ডপ্রাপ্ত ৫৭০ জন,যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া চার শতাধিক আসামিসহ প্রায় দেড় হাজারের মতো বন্দি রয়েছেন৷নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা কারাগারের এক কর্মকর্তা বলেন, ফাঁসির চূড়ান্ত আদেশের পর রায় বাস্তবায়নের আগে আনুষ্ঠানিকতার জন্য বেশ কিছুদিন সময় লাগে৷ তবে এ সময় বেশ কিছু প্রশাসনিক যোগাযোগের কাজ থাকে৷ আসামি ঢাকায় থাকলে এসব কাজে সুবিধা হয়৷

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেসার আলম বলেন, অনেক সময় প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে আসামিদের স্থানান্তর করা হয়৷ট্রাইবু্যনালের দেওয়া সর্বোচ্চ সাজার আদেশের বিরুদ্ধে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের আপিলের রায়ে সোমবার মৃতু্যদণ্ডাদেশ বহাল রাখে সর্বোচ্চ আদালত৷রায়ের পর রাতেই তাকে কাশিমপুরের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে স্থানান্তর করা হয় কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে৷ এরপর মঙ্গলবার আবার তাকে ঢাকায় পাঠানো হলো৷এদিকে,যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মৃতু্যদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারীসেক্রেটারি জেনারেলমুহাম্মদ কামারুজ্জামানের রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি৷

পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি হাতে পেয়ে পড়ার পর কামারুজ্জামান বিবেচনা করবেন রাষ্ট্রপতির কাছে তিনি প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি চাইবেন না৷জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন৷