20140810122400

দৈনিকবার্তা-নোয়াখালী, ১৬ নবেম্বর: সজীব ওয়াজেদ জয় আওয়ামী লীগের ‘ভবিষ্যত্‍ নেতা’ মন্তব্য করে তাকে ‘অর্বাচীন বালক’ বলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করেছেন সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের৷জয়কে নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে এই বিএনপি নেতার কাছে আরো ‘সচেতনতা’ প্রত্যাশা করেছেন তিনি৷ রোববার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে একটি স্লুইচ গেটের ‘ক্লোজার’ পরিদর্শনে এসে ওবায়দুল কাদের বলেন, জয় একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার এবং তথ্য প্রযুক্তিতে পারদর্শী৷ তিনি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন৷

জয় আমাদের ফিউচার লিডার৷ তিনি রাজনীতি শিখছেন বঙ্গবন্ধুর পরিবার থেকে৷ জয় রাজনীতিতে এখনো আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই৷ কাজেই তাকে নিয়ে বক্তব্য রাখার সময় মির্জা ফখরুল ইসলামের আরো সচেতন থাকা উচিত৷ সজীব ওয়াজেদ জয়কে বিএনপি নেতারা ‘ভয়’ পাচ্ছেন বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের৷ বিএনপির বক্তব্যে দেখছি, তারা সব সময় জয়কে ভয় পাচ্ছে৷ তারা জয়কে এতো ভয় পাচ্ছে কেন আমি জানি না৷ জয় যে বিষয় নিয়ে কাজ করেন সেই বিষয়ে মির্জা ফখরুলই বরং আনাড়ি এবং অর্বাচীন৷

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ ‘কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ না করলেও’ বিএনপির মুখপাত্র তাকে নিয়ে এভাবে কথা বলে ঠিক করেনি বলে মনে করেন কাদের৷জয় তার বক্তব্যে দলের রাজনীতি নিয়ে কথা বলেছেন৷ তিনি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ না করলেও মির্জা ফখরুল ইসলাম তার বক্তব্যে জয়কে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছেন৷ এভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করাটা সমীচীন হয়নি, বলেন তিনি৷গত শুক্রবার এক আলোচনা সভায় বিএনপিকে ‘রাজাকারদের দল’ আখ্যায়িত করে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন কি না- সে প্রশ্ন তোলেন জয়৷পরদিন এর জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘অর্বাচীন বালকের মতো’ কথা বলেছেন জয়৷

জিয়াউর রহমানকে ‘ক্ষণজন্মা অভিহিত করে তিনি বলেন, “যত কথাই বলা হোক না কেন- জিয়া ও মুক্তিযুদ্ধকে আলাদা করা যাবে না৷ জিয়াউর রহমানই মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন, এটাই সত্য৷ যারা তার (জিয়া) বিরুদ্ধে কটূক্তি করে, তার নাম মুছে ফেলতে চায়, তারা কোনো দিন তা পারবে না৷ এদেশে যতদিন গণতন্ত্র থাকবে, ততদিন কেউ জিয়ার নাম মানুষের হৃদয় থেকে মুছে ফেলতে পারবে না৷

জয়ের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “একটা শিশু বলে স্বৈরাচার৷ বিএনপির জন্ম নাকি স্বৈরাচারে৷ কী বলব! স্বৈরাচার কী? স্বৈরাচার কাকে বলে আগে জান৷ নিজের চেহারা আগে আয়নায় দেখ৷”কোম্পানীগঞ্জে ওবায়দুল কাদের বলেন, নদী ভাঙন রোধে এবার আট-ঘাট বেঁধে ক্লোজার নির্মাণে নামা হয়েছে৷ এর ফলে খুব দ্রুত ক্লোজার নির্মাণ শেষ করে এ অঞ্চলের মানুষের জানমাল ও ফসলি জমি রক্ষা করা হবে৷

এর আগে মন্ত্রী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাইক্লোন শেল্টার, কলেজ ও মাদ্রাসার নবনির্মিত ভবনসহ এক কোটি ৭০ লাখ ১১ টাকার ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন৷এছাড়া গত বছর ১৩ নভেম্বর জামায়াত-শিবিরের হামলায় নিহত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মামুনের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া দুই লাখ টাকার চেকও হস্তান্তর করেন তিনি৷

এ সময় জেলা প্রশাসক বদরে মুনির ফেরদৌস, পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ,কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নূর নবী চৌধুরী, সড়ক ও জনপথ বিভাগ নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা মো. তারেক ইকবাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷