BD-Nap-22-01-14

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৮নভেম্বর: স্বাধীনতা পূর্ব-উত্তর মৃতু্যপর্যন্ত প্রতিটি সময়ের অধিকার আদায়ের গণতান্ত্রিক আন্দোলন আর দুর্যোগ মুহূর্তে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীকে কান্ডারী হিসাবে আখ্যায়িত করে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম নেতা ও বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, জাতীয় স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, পতাকা-মানচিত্র রক্ষার সংগ্রামে তিনি আজও সমগ্র জাতির প্রেরনা৷ ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে বাঙ্গালীর স্বাধীকার এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের আলোকবর্তিকা মওলানা ভাসানী৷

এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া মঙ্গলবার সকালে নয়াপলন্টস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৩৮তম মৃতু্যবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখছিলেন৷ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ শাহজাহান সাজু, স্বপন কুমার সাহা, সম্পাদক মোঃ কামাল ভুইয়া, নগর সাধারন সম্পাদক মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন ভানু, যুবনেতা আবদুল্লাহ আল-মাসুম, ছাত্রনেতা এম.এন. শাওন সাদেকী, মহিলা নেত্রী আমিনা খাতুন মনি প্রমুখ৷

এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, মওলানা ভাসানী দেশের চলমান সম্মানবর্জিত রাজনীতির বিরুদ্ধে এক জ্বলন্ত প্রতিবাদ৷ দেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে মওলানা ভাসানীর মত মহান নেতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও ৪৩ বছরের শাসকগোষ্টি তাঁকে তাঁর প্রাপ্য মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হয়েছে৷ সকলেই তাকে চরম লাঞ্চিত করেছে, নিজেদের রাজনৈতিক ক্রান্তিকালে তাঁর নামটি ব্যবহার করলেও প্রয়োজন ফূরিয়ে গেলে ফেলে রেখেছে অনাদরে-অবহেলায়৷ তাঁর নিজে হাতে প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগও তাঁর নামটি উচ্চারন করতে সঙ্কোচ বোধ করে৷

সভাপতির বক্তব্যে কাজী ফারুক হোসেন বলেছেন, মওলানা ভাসানীর আপোষহীন সংগ্রামী দৃঢ়তাই তাকে মজলুম জননেতা বানিয়েছে৷ তিনি জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সার্বভৌমত্বের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন৷ তাঁর অনুপস্থিতি আজ জাতি চরমভাবে অনুভব করছে৷ প্রতিটি মুক্তিকামী গণআন্দোলনের নাম মওলানা ভাসানী৷ তাঁর সংগ্রামী জীবনের মধ্যেই বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কটের সমাধান রয়েছে৷