unnamed

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২১নভেম্বর: দেশে আইনের শাসন না থাকায় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস বলেন,২০দলীয় জোট নয় ছাত্রলীগই এখন আওয়ামী লীগের বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ শুক্রবার স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নিজ বাসায় তিনি এ কথা বলেন৷ শুক্রবার নাসিরাবাদ ইউনিয়নেরনবনির্বাচিতচেয়ারম্যান আকবরহোসেন মির্জা আব্বাসকে শুভেচ্ছা জানাতে এলে শাহজাহানপুরের নিজ বাসায় তিনি এ মন্তব্য করেন৷ ২০ দল দেশের জন্য বিষফোঁড়া প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যর প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন৷

মির্জা আব্বাস বলেন,নির্বাচনের সময় নির্বাহী ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকলেও ১০ম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আইন লঙ্ঘন করে নিজেদের দলীয় লোক ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাজে লাগিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে কারসাজির নির্বাচন করেছে৷বিএনপির এ নেতা অভিযোগ করে বলেন, সরকার দলীয় লোকজন প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিলেও পুলিশ কিছু বলেনা তবে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা ও কথায় কথায় গুলি চালানো হয়৷অহিংস উপায়ে আন্দোলন করেই সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করা হবে বলেও জানান তিনি৷দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়াও ছাত্রলীগের সমালোচনা করে বলেন, ৫জানুয়ারির নির্বাচনের সময়ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিল তারা৷

বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দেয়ার মধ্য দিয়ে সরকার প্রতিহিংসার পথ বেছে নিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷ শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ছাত্রলীগকে সামলান৷ আমাদের রাস্তায় এমনকি ঘরের মধ্যেও কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না৷ অথচ শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগ ছাত্রলীগকে হত্যা করেছে৷ এসময় আওয়ামী লীগেকে দেশের বিষফোঁড়া বলে আখ্যা দেনে তিনি৷

তিনি বলেন, অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে জনগণ পতন ঘটাবে৷ আন্দোলন জনগণের মধ্য থেকে উঠে আসে আর সে আন্দোলনে একজন বা একটি দল নেতৃত্ব দেয়৷তিনি আরো বলেন, যখনই আমরা আন্দোলনের প্রস্তুতি নেই তখন আমাদেরকে মিটিং করতেই দেয়া হয় না৷ রাস্তায় নামার আগেই পুলিশ দিয়ে সরকার হুমকি ধামকি আর গুলি চালিয়ে সভা-সমাবেশ বন্ধ করে দেয়৷ আমাদের কথা বলতে দিন৷ আপনার ( শেখ হাসিনা) কাছে আহ্বান রাজনীতিবিদদের রাজনীতি করতে দিন৷

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সরকার সমাবেশ করতে দেয়নি৷ এ সমাবেশে যে জনসমাগম হবে তা সামাল দিতে পারবে না ভেবেই অনুমতি দেয়নি তারা৷ বেগম জিয়ার বিভিন্ন সমাবেশে বিশাল লোক সমাগম প্রমাণ করে জনগণ আওয়ামী লীগের সাথে নেই৷ জনগণ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে৷

এ সময় অভিযোগ করে আব্বাস বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নয়ন আকরাম হোসেনের পক্ষে কাজ করায় সরকারের লোকেরা তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গুম করে হত্যা করেছে৷তিনি নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আকরাম হোসেনকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এটি একটি ছোট নির্বাচন হলেও জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে৷ যেখানেই নির্বাচন হচ্ছে বিএনপি পাস করছে৷ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জাতীয় নির্বাচনেও জনগণ এ সরকারের বিরুদ্ধে রায় দেবে৷