দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২২ ডিসেম্বর: নিকৃষ্ট ছাত্রলীগ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে যে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে। একই সঙ্গে ছাত্রলীগকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে গণধোলাই থেকে রক্ষা হবে না। আগামীতে সব আন্দোলনে মাঠে থাকবে ছাত্রদল।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর গাজীপুরে খালেদা জিয়ার পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ  যে কোন মূল্যে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে ছাত্রদল। সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ ঘোষণা দেন ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বলেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল দেশব্যাপী খালেদা জিয়ার যে সমাবেশগুলো রয়েছে সেগুলোর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবে ছাত্রদল। এই সমাবেশ সফল করার জন্য যে ভাষায় কথা বলা দরকার এবং যে পদ্ধতিতে কাজ করা দরকার- তা করতে ছাত্রদল বদ্ধপরিকর।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। যদি সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয় ছাত্রদল নিয়ন্ত্রণ করতে বাধ্য হবে।
আকরামুল হাসান বলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান যখন আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষনা করে যুক্তির আলোকে ঐতিহাসিক সত্যগুলো তুলে ধরছেন, ঠিক তখনই আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে।
তারেক রহমান লন্ডনে একাধিক আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী নেতৃতের ব্যর্থতাগুলো  তুলে ধরেছেন। যথা সময়ে স্বাধীনতার যুদ্ধ ঘোষনা না দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের কে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিয়েছিলেন। আওয়ামী নেতৃত্ব মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব না দিয়ে জাতিকে অসহায় অবস্থায় রেখে কেউ আত্ম গোপনে, কেউবা সীমান্তের ওপারে ভোগ বিলাসের জীবন বেঁছে নিয়েছিলেন। ৭ মার্চে বক্তব্যে শেখ মুজিব জয় পাকিস্তান বলে ভাষন শেষ করেছিলেন। এছাড়াও স্বাধীন বাংলাদেশে তার আগমন হয় পাকিস্তানী নাগরিক হিসেবে।

বিজয়ের পর ১৯২ জন সামরিক যুদ্ধাপরাধীকে সিমলা চুক্তির মাধ্যমে স্বদেশে ফিরিয়ে দিতে সহায়তা করেছিলেন। এই বক্ত্যগুলোর কোনটাই তারেক রহমানের নিজের বক্তব্য নয়, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিভিন্ন লেখক ও গবেষকদের গবেষনা থেকে এই ঐতিহাসিক সত্যগুলো বের হয়ে এসেছে। যাদের অধিকাংশই কোন না কোন সময় আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তারেক রহমান যে ঐতিহাসিক সত্যগুলো তুলে ধরেছেন,মুক্তি যুদ্ধের উপ অধিনায়ক একে খন্দকার এবং তাজউদিদ্দনের মেয়ে শারমিন আহমেদসহ অনেক লেখকের গবেষনায় আমরা তার প্রতিধ্বনিই শুনতে পাই।
আকরামুল হাসান বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। ছাত্রলীগের অব্যহত সন্ত্রাস,চাঁদাবাজি, অপহরন ও খুনের ঘটনায় শিক্ষাঙ্গন সহ সরা দেশ এখন মৃত্যুপুরী। বিগত আওয়ামী সরকারের ৫ বছর ও বর্তমানে তামাশার নির্বাচনে গঠিত অবৈধ সরকারের ১ বছরে নিজেদের অভ্যন্তরীন কোন্দোলে  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেই খুন হয়েছে প্রায় ৫০ জন মেধাবী ছাত্র। এছাড়া অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী পুঙ্গুত্বের ভাগ্য বরন করেছে। দেশ বরেণ্য সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী এমনকি সরকার দলীয় শীর্য নেতৃবৃন্দও নিয়ন্ত্রনহীন

এই দানব ছাত্র সংগঠন সম্পর্কে ধারাবাহিক ভাবে বিরূপ সন্তব্য করে আসছে। ছাত্রদল মনে করে অবৈধ প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য সারা দেশে যে খুনের রাজত্ব্য কায়েম করেছে, সেই ধারাবাহিকতায় ছাত্রলীগও দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মেধাবী ছাত্রদের একের পর এক খুন করে নিজেদের হাত রক্তে রঞ্জিত করছে।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন, সহ- সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, তারেক উজ্জামান তারেক, আলমগীর হোসেন সোহান, ফয়সাল আহমেদ সজল, নাজমুল হাসান,মামুন বিল্লাহ, ইখতিয়ার রহমান কবির,আবদুল হান্নান মিয়া, খলিলুর রহমান খলিল, জহিরুল ইসলাম বিপ্লব, আবু আতিক আল হাসান মিন্টু, জাকির হোসেন খান,জয়দেব জয়। আরো উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, মিয়া মোঃ রাসেল, মিজানুর রহমান সোহাগ, আবুল হাসান,নূরল হুদা বাবু, আবদুল করিম সরকার, বায়েজিদ আরেফিন, ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ, আজিজুর রহমান আজিজ, শাহ নাসির উদ্দিন রুম্মন, মামুন হোসেন ভুইয়া, শহীদুল ইসলাম সোহেল, সামসুল আলম রানা, কাজী মোকতার হোসেন, মাহফুজুর রহমান, আবু বক্কর সিদ্দীকি পাভেল, মির্জা ইয়াসিন আলী, মুসফিকুর রহমান লেলিন, বি.এম নাজিম মাহমুদ, মেহবুব মাসুম শান্ত, এস এম কবির, শফিকুল ইসলাম সফিক, গোলাম মোস্তফা, হাবিবুর রহমান ডালিম সহ-সাধারন সম্পাদক খন্দকার মোজাহিদুল ইসলাম, জসীম উদ্দিন, রবিউল ইসলাম রবি, আবুল কালাম আজাদ টিটু, মনজুর মোর্শেদ পলাশ, রাজিব আহসান পাপ্পু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রেদওয়ান বাবু, আবু সাঈদ, মিজানুর রহমান সুমন, সাইদুর রহমান রয়েল, আনোয়ার মামুন ভূইয়া, আমীর আমজাদ মুন্না, আশরাফ ফারুকী হীরা, শাহীন আখন্দ, জাকির হোসেন । প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম হিমেল, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, আন্তর্জাাতিক সম্পাদক রাশিদুর ইসলাম রিপন, তথ্য ওগবেষণা সম্পাদক আহসানুল হক শুভ্র, ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ মাহমুদ, যোগাযোগ সম্পাদক গাজী সুলতান জুয়েল, পাঠাগার সম্পাদক মেহেদী হাসান, মানবাধিকার সম্পাদক আব্দুল আজিজ রুমি, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইয়াকুব রাজু, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাহাদাৎ হোসেন, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত বিল্লাহ খান,গণ সংযোগ বিষয়ক সম্পাদক মোক্তার হোসেন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক ওমর ফারুক মুন্না,ঢাকা মহানগর (উঃ) ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান রাজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।