hakaluki

দৈনিকবার্তা-মৌলভীবাজার,২ জানুয়ারি :  মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার হাকালুকি হাওরে বন বিভাগের উদ্যোগে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে করা সামাজিক বনায়নের মূর্তাবাগান নষ্ট হয়ে গেছে৷ মূর্তাগাছের মোথা যথাযথভাবে রোপণ না করা ও পরিচর্যার অভাবে বাগানের এ অবস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় জলাভূমির বন পুনরুদ্ধার ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ অর্থবছরে বন বিভাগের জুড়ী-১ রেঞ্জের উদ্যোগে সামাজিক বনায়ন হিসেবে হাকালুকি হাওরের ২৮৫ হেক্টর জায়গায় মূর্তাবাগান করা হয়৷ এতে ব্যয় হয় এক কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা৷

মূর্তার বেত শীতলপাটি তৈরির প্রধান কাঁচামাল৷ এ ছাড়া মূর্তার বেতের ভেতরের নরম অংশ দিয়ে মণ্ড পাল্প তৈরি করা হয়৷ নিয়ম অনুযায়ী, মূর্তাবাগানের জন্য নির্ধারিত স্থানের মাটিতে চাষ দিয়ে ৩০ সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধের গর্ত করে ২ দশমিক ৫ মিটার দূরে দূরে মোথা রোপণ করতে হয়৷ প্রতিটি গর্তে তিন ভাগ মাটি, এক ভাগ পচা গোবর সার ও দুই গ্রাম করে এনপিকে (নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও আয়রনের মিশ্রণে তৈরি) সার দিতে হয়৷ এ ছাড়া নিয়মিত পানি সেচসহ দু-এক মাস পর পর প্রতিটি গাছের গোড়ায় আলগা মাটি দিতে হয়৷ মাঝেমধ্যে আগাছা পরিষ্কার ও প্রতিবছর প্রতিটি গাছে পাঁচ কেজি করে গোবর এবং ইউরিয়া ও ফসফেট সারের মিশ্রণ দিতে হয়৷ জুড়ী-১ রেঞ্জের বর্তমান রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান ১৮ ডিসেম্বর সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) বরাবর একটি লিখিত প্রতিবেদন দেন৷ প্রতিবেদনে মূর্তাবাগানে কোনো গাছ নেই বলে উল্লেখ করা হয়৷ প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করে রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান জানান, সমপ্রতি তিনি সরেজমিনে বাগান পরিদর্শন করে সেখানে কোনো মূর্তাগাছ খুঁজে পাননি৷ মূর্তাগাছের মোথা ঠিকমতো রোপণ ও পরিচর্যা না করায় বাগানটি নষ্ট হয়ে গেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন৷ ২০১১-২০১৩ সালের মধ্যে এই রেঞ্জে দুজন রেঞ্জ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেছেন৷ তাঁরা হলেন, এ এস এম হারম্নন (বর্তমানে সাময়িক বরখাসত্ম) এবং শফি উদ্দিন (বর্তমানে টাঙ্গাইল বন বিভাগে কর্মরত)৷