AMU-e1405780230731

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ জানুয়ারি: বর্তমানে জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্পখাতের অবদান ৩২ শতাংশ৷ একে ৪০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হবে৷ সে লক্ষ্যে শিল্পনীতি ২০১৫ তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু৷

শনিবার সকালে শিল্পমন্ত্রণালয়ে সম্মেলন কক্ষে বর্তমান সরকারের এক বছরে শিল্পমন্ত্রণালয়ের অর্জন’ শীর্ষক এ সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ তথ্য জানান৷

শিল্পখাতের সরকারের অর্জন তুলে ধরে তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা ও দেশে রাজনৈতিক সহিংসতার মধ্যেও শিল্পখাত কাঙি্ক্ষত অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে৷ ইতোমধ্যে জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্পখাতের অবদান ৩২ শতাংশে এবং শিল্প শ্রম শক্তির পরিমাণ ২০ শতাংশে উন্নতি হয়েছে৷ জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্পখাতের অবদান ৪০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হবে৷

শিল্পখাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে (বিসিক) ৮৯ হাজার ৩৭৫ জনের নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে৷ বিসিকের সাহায্যে সারা দেশে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে মোট বিনিয়োগ হয়েছে ১৬ হাজার ৭৩৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা৷ এর মধ্যে উদ্যোক্তাতাদের নিজস্ব তহবিল থেকে বিনিয়োগ করা হয়েছে ২ হাজার ৮১২ কোটি টাকা৷ বাকি টাকার মধ্যে ৪ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা ঋণ সংশ্লিষ্ট ইকুইটি এবং ৯ হাজার ৪২১ কোটি টাকা ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠাণের ঋণ৷ এ বিনিয়োগের ফলে শুধু বিসিক শিল্পনগরীতে প্রায় ২৩ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে৷’

এছাড়া বিসিকের ৭৪টি শিল্পনগরীতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের প্রায় ১৮ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ আছে৷

মন্ত্রী জানান, সরকার দায়িত্ব নিয়ে ২০১৪ সালে ইরি-বোরোর পিক সিজনে সুষ্ঠুভাবে সার ব্যবস্থাপনা করেছে৷ সার পরিবহন, বিপণন ও বিতরণে দেশের কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি৷ কৃষকদের সুলভ মূল্যে সার দিতে ইউরিয়া সারের মূল্য ২০ টাকা থেকে কমিয়ে প্রতি কেজি ১৬ টাকা করা হয়েছে৷ ডিএপি সারের মূল্য ২৭ টাকা থেকে ২৫ টাকা করা হয়েছে৷ ফলে দেশে ধানসহ বিভিন্ন ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে৷

আমু বলেন, বিসিক শিল্পনগরীর প্লট বরাদ্দ নিয়ে শিল্প স্থাপন করেনি এ ধরনের ৫৭টি প্লট বাতিল করা হয়েছে৷ বাকি প্লটগুলোও চিহ্নিত করে বাতিল করা হবে৷ বাতিল করা প্লাটগুলোর মধ্যে ২৭টি প্লট ২০ জন নতুন উদ্যোক্তাকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে৷

শিল্পমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই বন্ধ কারখানা চালুর উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, শিগগির চট্টগ্রাম কেমিক্যাল কমপ্লেঙ্ (সিসিসি) পুনরায় চালু করা হবে৷ খুলনা নিউজ প্রিন্ট মিলস্ এবং খুলনা হার্ডবোর্ড মিলস্ পুনরায় চালু করতে কারখানা দুটি পরিদর্শন করেছি৷ সুন্দরবনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করায় মিল দুটি স্থানীয় কাঁচামাল থেকে চালানো সম্ভব না৷ তাই নতুন প্রযুক্তিতে এগুলো পুনরায় চালুর ব্যাপারে বিদেশি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে৷

এছাড়া রাজধানী থেকে ট্যানারি স্থানান্তরের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে৷ সিইটিপি ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে সব কাজ শেষ করা হয়েছে৷ সিইটিপির ৫৫ শতাংশ শেষ হয়েছে৷ বাকি ৩৫ শতাংশ চলতি বছরের মার্চের মধ্যে শেষ করা হবে৷

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফরহাদ উদ্দিন, বেগম পরাগ, সুষেণ চন্দ্র দাস এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন সব করপোরেশন/সংস্থার চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা