amu1-300x150

দৈনিকবার্তা- ঢাকা, ৩ ফেব্রুয়ারি: পাকিস্তানের মত বাংলাদেশকেও একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু৷ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সেমিনার রুমে নতুন ধারা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে স্বনির্ভর বাংলাদেশ বির্নিমাণে কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতি শীর্ষক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি৷

কৃষি বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদনের জন্য ৬৪ জেলার ১০০ প্রতিনিধিকে সম্মাননা প্রদান উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷শিল্পমন্ত্রী বলেছেন, পাকিস্তানে যেমন প্রতিদিন জঙ্গি হত্যাকান্ড সংঘটিত হচ্ছে ঠিক তেমনই এ দেশে হত্যাকান্ড ঘটিয়ে যাচ্ছে তাদের দোসররা৷

আমির হোসেন আমু বলেন, দেশ এখন উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে৷ দেশের এই উন্নয়ন পাকিস্তান রাষ্ট্রের নেতারা সহ্য করতে পারছে না৷ পাকিস্তান যেমন অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশকেও তারা সেরূপ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করছে৷ এজন্য তারা তাদের দোসরদের দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্র করছে৷

তিনি বলেন,যারা দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে এবং যারা তাদের দোসর তাদের সঙ্গে এ দেশের মানুষের কোন সম্পৃক্তা নেই৷ দেশের মানুষ ঘৃণাভরে তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে৷নতুন ধারা ফাউন্ডেশনের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শিকদার রুস্তম আজাদের সভাপতিত্বে এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ভোলা-৩ এর সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ঢাবি কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, এটিএন বাংলার উপদেষ্টা নওয়াজীশ আলী খান, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক নঈম নিজাম, বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি রিয়াজ বিন মাহমুদ প্রমুখ৷

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি সমপ্রসারণ ও ইনফরমেশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. সেকেন্ডার আলী৷ শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু দেশের বিভিন্ন এলাকায় উত্‍পাদিত জিআই পণ্যের অর্থনৈতিক সুবিধা পেতে কৃষকদের সচেতন করে তোলার ওপর গুরম্নত্বারোপ করেছেন৷তিনি বলেন, ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের পেটেন্ট নিবন্ধনে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলতে হবে৷ আর এৰেত্রে দেশের সাংবাদিক সমাজ বড়ো ভূমিকা ভূমিকা পালন করতে পারেন৷কৃষি ও শিল্পখাতে যুগপত্‍ উত্‍পাদনশীলতা বাড়িয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব বলেও তিনি মনত্মব্য করেন৷

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৪০ শতাংশের পাশাপাশি শিল্পখাতের শ্রম শক্তির পরিমাণ ২৫ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে বর্তমান সরকার কাজ করছে৷ সরকার গৃহিত নীতির ফলে ইতোমধ্যে জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৩২ শতাংশ ও শ্রমশক্তির পরিমাণ ২০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে৷

তিনি কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে অধিকহারে দেশিয় কাঁচামালভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে কৃষিখাতের আধুনিকায়ণ, কৃষি পণ্য বৈচিত্রকরণ এবং পরিবেশবান্ধব জৈব প্রযুক্তির প্রয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন৷অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে প্রধান অতিথি শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু কৃষিখাতে ইতিবাচক প্রতিবেদনের জন্য দেশের ৬৪ জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার একশ’ সাংবাদিকদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন৷