শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শুভ সূচনা করলো নিউজিল্যান্ড

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৪ ফেব্রুয়ারি: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মধুর প্রতিশোধ নিয়ে বিশ্বকাপে শুভ সূচনা করেছে নিউ জিল্যান্ড। বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিয়ে গত দুইবারের রানার্সআপদের সহজেই হারিয়েছে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজকরা।

বিশ্বকাপ শুরুর মাস দুয়েক আগে ৫০ ওভারি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরের ডাকহর্স ভাবা হচ্ছিলো নিউজিল্যান্ডকে।তবে সময় যত গড়িয়েছে আলগা এই তকমাটা আস্তে আস্তে খসে পড়েছে ব্লাক ক্যাপসদের গা থেকে। এরপর বিখ্যাত হলুদ অস্ট্রেলিয়ার সাথে সাথে ২০১৫ বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট হয়ে দাঁড়ায় বিশ্বকাপের সহ-আয়োজকরা। শনিবার ক্রাইস্টচার্চে সেটাই যেন প্রমাণ করলো নিউজিল্যান্ড। হাগলি ওভালে এবারের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯৮ রানের বড় জয় পেয়েছে ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম বাহিনী। একেবারে ফেভারিটের মতোই।

টস হেরে দিন শুরু করে যেন ক্ষেপে গিয়েছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম! তাই ব্যাটিংয়ে নেমেই লঙ্কান বোলারদের কচুকাঁটা করেন কিউই দলপতি। ৪৯ বলে ১০ চার আর এক ছয়ে ব্যক্তিগত ৬৫ রান করে রঙ্গনা হেরাথের শিকার হন ম্যাককুলাম ভাইদের বড়জন। অবশ্য ততোক্ষণে এই বিশ্বকাপের দুই প্রথমের সাথে নিজের নাম জড়িয়ে ফেলেন ব্লাক ক্যাপস ব্যাটসম্যান। ২০১৫ বিশ্বকাপের প্রথম অর্ধশতক, আর প্রথম আউট। ততোক্ষণে অবশ্য ১৫.৫ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতেই স্কোরবোর্ডে ১১১ রান তুলে ফেলে নিউজিল্যান্ড। পরে ইনিংসের মাঝপথে এই ধামাকা কিছুটা ধীর হয়ে পড়ে। তবে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের শেষে কোরি অ্যান্ডারসনের ব্যাটিং তাণ্ডবে আবারো প্রাণ পায় স্বাগতিকদের ইনিংস, বড় সংগ্রহই গড়ে স্বাগতিকরা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ৩৩১ রান করে তারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন অ্যান্ডারসন। ৪৬ বলে আট চার ও দুই ছয়ে ইনিংস সাজান তিনি। ৪৯ রান করেছেন মার্টিন গাপটিল। এছাড়া কেন উইলিয়ামসন ৫৭, গ্রান্ড এলিয়ট ২৯ ও লুক রঞ্চি ২৯ রান করেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন সুরঙ্গা লাকমল ও জীবন মেন্ডিস। উইকেট শূন্য থাকেন লাসিথ মালিঙ্গা।

এরপর ৩৩২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শ্রীলঙ্কার শুরুটা আশা জাগানিয়াই ছিল। লাহিরু থিরিমান্নে ও তিলকারত্মে দিলশান উদ্বোধনী জুটিতেই ৬৭ রান তোলেন। কুমার সাঙ্গাকারা ও থিরিমান্নের দ্বিতীয় উইকেটেও প্রতিরোধের ছটা দেখা গিয়েছিল।

কিন্তু ২২ ওভারের শেষ বলে অর্ধশতক হাঁকানো থিরিমান্নে (৬৫) কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্টের বলে বোল্ড হলে মড়ক লাগে লঙ্কান ইনিংসে। পাঁচ রানের ব্যবধানে ফিরে যান সাঙ্গাকারা (৩৯) ও মাহেলা জয়বর্ধনে (০)। এরপর উইকেটের এক প্রান্ত আগলে ১৯৯৬ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ইনিংসে প্রাণ দেয়ার চেষ্টা করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। কিন্তু দ্রুত ফিরে যান তার সতীর্থরা। জীবন মেন্ডিস ৪, নুয়ান কুলাসেকারা ১০ রানে আউট হওয়ার পর অস্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটা দেন ম্যাথুস। লড়াকু ৪৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ৪১ ওভারের দ্বিতীয় বলে ম্যাথুসের আউটের পর আর বেশিক্ষণ আয়ু পায়নি শ্রীলঙ্কার ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ৪৬.১ ওভারে ২৩৩ রানে অলআউট হয় মাহেলা জয়বর্ধনে-সাঙ্গাকারার দল। হার ৯৮ রানের। ব্যাট হাতে ৭৫ রানের সাথে বোলিংয়ে দুই উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ কোরি অ্যান্ডারসন।