দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১০মার্চ: সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশ এক প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে চলছে৷ দেশের এ অবস্থার সৃষ্টি করেছে একটি রাজনৈতিক দল বা জোট৷ যখন মানুষকে পুড়িয়ে-জ্বালিয়ে মারছে তখন ডা. সিরাজুল আকবরের মতো একজন রাজনৈতিক নেতা প্রয়োজন ছিল৷
মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে সংসদ সদস্য মরহুম ডা. সিরাজুল আকবরের উপর জাতীয় সংসদে আনিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন৷প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও উনাকে (সিরাজুল) যতোবার মনোনয়ন দিয়েছি ততোবারই তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন৷ তিনি মাগুরাবাসীর কাছে অত্যান্ত জনপ্রিয় ছিলেন৷ এই মহত্ চিকিত্সককে হারানোর মধ্য দিয়ে শিশুরা একজন সেবক হারালো৷
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা তাকে দুবার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান করেছিলাম৷ তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর রেড ক্রিসেন্টকে দুর্নীতি অনিয়ম থেকে মুক্ত করে এ সংস্থার মর্যাদা ফিরে দিয়েছেন৷ রেড ক্রিসেন্টের বড় দায়িত্ব যে জনসেবা করা সেটা তিনি প্রতিস্থাপন করেছেন৷
তিনি বলেন, সোমবার ৯ মার্চ যখন বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে আমাদের ক্রিকেট দল কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করলো৷ আমার সবাই যখন আনন্দে আত্মহারা ঠিক সেই মুহূর্তে শুনতে পেলাম সিরাজুল আকবর আর নেই৷ এটা সত্যিই খুব বেদনাদায়ক৷
শোক প্রস্তাব আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, জাতীয় সংসদে চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সাবেক চিফ হুইপ উপধাক্ষ্য আব্দুস শহীদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সরকার দলীয় সদস্য মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, হাবিবে মিল্লাত, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, কামরুন লায়লা জলি, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, মো. রুস্তম আলী ফরাজী, খ ম জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ৷আলোচনা শেষে সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাবটি সংসদে গৃহীত হয়৷ এরপরই সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ী ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া সংসদের বৈঠক মুলতবি ঘোষণা করেন৷
