untitled-1_73912

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৫ মার্চ: স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সেলিমের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।বুধবার দুপুর ১টায় এ নিয়ে হাজী সেলিম তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস লিখেছেন।

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, আমি আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণ এর মেয়র পদে অংশ গ্রহনের লক্ষে গত মঙ্গলবার সংসদে পদত্যাগ পত্র দাখিল করি, কিন্তু মাননীয় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী পদত্যাগ পত্রটি গ্রহন করেননি। প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সেলিম এমপি।বুধবার সকালে নাম ও পদবী প্রকাশ না করার শর্তে হাজী সেলিমের ঘনিষ্ঠজন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সংসদ অধিবেশন শেষে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা হাজী সেলিমকে সিটি নির্বাচনে অংশ না নিতে বলেন। ওই সময় সংসদ থেকে পদত্যাগ করতে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র নিয়ে যান হাজী সেলিম। স্পিকারও পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন নি। বরং তাকে সিটি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।এর আগে গত ১২ মার্চ নবাবাপুরের নিজ বাসায় হাজী সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা বা হাইকমাণ্ড থেকে বললে সিটি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি।

বুধবারসকাল থেকে লাপাত্তা হাজী সেলিম। তার ব্যক্তিগত ফোন নম্বরে একাধিকবার ডায়াল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। বিশ্বস্ত ও ঘনিষ্ঠ একজন বলেছেন, হাজী সাহেব ঘুমিয়েছেন।তিনি বলেন, এর আগে সিটি নির্বাচন উপলক্ষে সকাল থেকেই মাঠে নেমে পড়তেন হাজী সেলিম। মিডিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত, নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করতেন। যেকোনো ফোন কল রিসিভ করতেন। কিন্তু মঙ্গলবারের ঘটনার জেরে বুধবার কারো সঙ্গে কথা বলছেন না বা দেখাও করছেন না হাজী মো. সেলিম।

গত ২৬ ফেব্র“য়ারি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গণভবনে ডেকে প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে সাঈদ খোকনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেন। এরপর থেকে মাঠে নেতে পড়েন সাঈদ খোকন। পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি নেন হাজী মো. সেলিমও।মঙ্গলবার দুপুরে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দু’জনই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। ওই দিন বিকেলেই হাজী মো. সেলিম সংসদ থেকে পদত্যাগ করার মনোভাব নিয়ে অংশ নেন সংসদ অধিবেশনে। সেখানেও সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পরে নেত্রীর নির্দেশে পাল্টে যায় চিত্র।