দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৭ এপ্রিল: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম খাদ্যে ভেজাল দানকারিদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন।তিনি বলেন, যারা খাদ্যে ভেজাল দেয় তাদের বিরুদ্ধে আপনারা প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। যারা খাদ্যে ভেজাল মেশায় তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার পাশাপাশি খাবার গ্রহনে সবাইকে সচেতন হতে হবে।স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাস্থ্য দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। নিরাপদ পুষ্টিকর খাবার-সুস্থ জীবনের অঙ্গীকার স্লোগানে মঙ্গলবার বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস।
স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহেদ মালেক, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. দীন মো. নূরুল হক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নূর হোসেন তালুকদার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি এন পারানিথারান, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশে প্রতিনিধি ডেভিড ডব্লিউ ডোনার্ট প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
যারা খাদ্যে ভেজাল দেয় তাদের জন্য মৃত্যুদন্ডের মতো কঠোর আইন হওয়া উচিৎ মন্তব্য করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আমরা কঠোর আইন করেছি কিন্তু এখনও পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। তাই খাদ্যে ভেজালকারীদের জন্য মৃত্যুদন্ডের মতো আরও কঠোর আইন হওয়া উচিৎ। এজন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গুলোর আরও কঠোরভাবে কাজ করতে হবে, অন্যথায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা যাবে না।মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আমরা যদি সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করি, তাহলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশে ভেজাল খাবার বলে কিছুই থাকবে না।‘ডাক্তাররা গ্রামে থাকতে চায় না’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্রামে বেশি মানুষ বাস করে, সংবিধান অনুযায়ী তাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। তাহলে গ্রামে কেন ডাক্তাররা থাকবে না? আমি যতদিন এই দায়িত্বে আছি ডাক্তারদের গ্রামে থাকার ব্যবস্তা করবই এবং তাদের দুই বছরের আগে কোন বদলি করা হবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
