DoinikBarta_দৈনিকবার্তা-6_4

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৭ এপ্রিল: নিখোঁজ বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের সন্ধানে সহায়তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবারও স্মারকলিপি দিয়েছে স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ স্মারকলিপি দেন তিনি।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাসিনা আহমেদ বলেন, সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনের কথা বিবেচনা করে তার স্বামীকে জনসম্মুখে আনার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি।প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করলেই তার স্বামীকে ফিরে পাবেন বলে জানান হাসিনা আহমেদ।এর আগে একই দাবিতে ১৯মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেন সালাহউদ্দিনের স্ত্রী। উল্লেখ্য, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদকে ১০ মার্চ রাতে উত্তরার নিজ বাসা থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পরিবারের। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ মেলেনি।এর আগেও একবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন হাসিনা আহমেদ।

মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফা স্মারকলিপি দিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়েছেন।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার পর হাসিনা আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আমি দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। আমি সন্তানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা বলেছি। আমি বলেছি, আমার সন্তানদের কথা মানবিকভাবে বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন, তারা যেন আমার স্বামীকে জনসম্মুখে হাজির করে।গত ১০ মার্চ রাতে উত্তরার একটি বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। যদিও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। স্বামীর খোঁজ চেয়ে উচ্চ আদালতে হাসিনা আহমেদের করা একটি রিট আবেদনের শুনানির দিন রয়েছে বুধবার।

সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ৪ নম্বর গেইটে আসেন হাসিনা আহমেদ। সঙ্গে ছিলেন সালাহ উদ্দিনের ছোট ভাই গিয়াসউদ্দিন আহমেদ ও তার স্ত্রী শামীম আরা জোৎস্না।সাবেক সাংসদ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠি গ্রহণ শাখায় স্মারকলিপিটি দেন। সেটি গ্রহণ করেন অফিস সহকারী আবদুল হামিদ।আগের স্মারকলিপিটি তিনি দিয়েছিলেন গত ১৯ মার্চ।এবার এক পৃষ্ঠার স্মারকলিপিতে হাসিনা আহমেদ বলেছেন, আমি অত্যন্ত ভরাক্রান্ত মন নিয়ে আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করার প্রত্যাশায় স্মারকলিপি ও আবেদন পেশা করছি। আমি প্রত্যাশা করি সরকার প্রধান ও বিবেকবান মানুষ হিসেবে দুঃসহ যন্ত্রণায় ক্লিষ্ট একটি পরিবারের উৎকন্ঠা, উদ্বেগ ও আর্তনাদ আপনার সুকোমল হৃদয় স্পর্শ করবে।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পূর্বের মতোই আমার স্বামীকে খুঁজে বের করার জন্য আপনার সদয় হস্তক্ষেপ ও বিশেষ নির্দেশনা ও সহায়তা প্রার্থনা করছি। আমি পুনরায় ব্যক্ত করছি যে, আমরা স্বামী যদি কোনো অপরাধ করে থাকেন অথবা তার বিরুদ্ধে যদি কোনো মামলা থাকে, তাহলে তাকে অবিলম্বে সোপর্দ করে আইনি প্রক্রিয়ায় যথাযথ বিচার কার্যক্রম গ্রহণ করার বিষয়ে আমার কোনো আপত্তি থাকবে না। হাসিনা অভিযোগ করেন,সম্প্রতি ডিএমপি সালাহউদ্দিন আহমেদকে খুঁজে পেতে একটি কমিটি করেছে বটে, কিন্তু তাদের কার্য্ক্রম ফলপ্রসূ নয়। এমনকি আমার সাথে তারা কোন রকম যোগাযোগও করেন নাই। আমার বিশ্বাস, আপনার সদয় নির্দেশনা পেলে তাদের প্রচেষ্টা সফল হবে।সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন সালাহ উদ্দিন। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে কক্সবাজারের সংসদ সদস্য হন এবং প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।