atok_78162

দৈনিকবার্তা-গৌরনদী (বরিশাল) ০৩ মে: “পরকীয়ার খেসারত গৌরনদীর দুই পরিবার গ্রাম থেকে উত্‍খাত” শিরোনামে রবিবার বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর টনগ লড়েছে থানা পুলিশের৷ রবিবার সকালে এলাকাছাড়া অন্তঃস্বত্তা কিশোরীসহ তার পরিবারবর্গদের পুলিশ নগরী থেকে উদ্ধার করেছে৷ এ ঘটনায় ওইদিন দুপুরে অন্তঃস্বত্তা কিশোরী বাদি হয়ে প্রেমিক, গ্রাম্য মোড়লসহ ১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন৷ তাত্‍ক্ষনিক অভিযান চালিয়ে পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামি সালিশদ্বার বাচ্চু ফকিরকে গ্রেফতার করেছে৷ ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার টরকী এলাকার রামনগর গ্রামের৷
গৌরনদী থানার ওসি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সরেজমিনে তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়৷ পরবতর্ীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার এস.আই স্বপন কুমার হাওলাদার অভিযান চালিয়ে রবিবার সকালে বরিশাল নগরীর মরকখোলা ব্রিজ এলাকার নিকট আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নেয়া অন্তঃস্বত্তা কিশোরী ও তার পরিবারকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়৷ এ ঘটনায় ওইদিন দুপুরে অন্তঃস্বত্তা কিশোরী প্রিয়া আক্তার বাদি হয়ে প্রেমিক শহিদ ফকির, গ্রাম্য মোড়ল (সালিশদার) স্থানীয় প্রভাবশালী বুলবুল দেওয়ান, আবুল হোসেন ফকির, বাচ্চু ফকির, মতিন খলিফা, জামাল খলিফা, আলম ফকিরসহ ১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন৷ পুলিশ তাত্‍ক্ষনিক অভিযান চালিয়ে এজাহারভূক্ত আসামি সালিশদার বাচ্চু ফকিরকে গ্রেফতার করে৷

উল্লেখ্য, উপজেলার টরকী এলাকার রামনগর গ্রামের মৃত ধোনাই ফকিরের পুত্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও এক সন্তানের জনক শহিদ ফকিরের সাথে প্রতিবেশী সোবাহান খলিফার ষোড়শী কন্যা প্রিয়া আক্তারের (১৭) দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে৷ সেসুবাধে তাদের একাধিকবার দৈহিক মেশামেশায় প্রিয়া চার মাসের অন্তঃস্বত্তা হয়ে পরে৷ এনিয়ে গত ৩০ এপ্রিল রাতে স্থানীয় উল্লেখিত প্রভাবশালীরা গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে বসেন৷ বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরকীয়া প্রেমিক শহিদকে মধ্যযুগীয় নির্যাতনের পর মোটা অংকের টাকা জরিমানা আদায় করে সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষার আদায়ের পর দুটি পরিবারকেই চিরদিনের জন্য গ্রাম থেকে বিতারিত করা হয়৷ এছাড়াও জরিমানা টাকা পরিশোধের জন্য শহিদ খলিফার বসত ঘর ও দোকান ঘর মাত্র দশ হাজার টাকায় ক্রয় করে রাখেন সালিশদার আবুল হোসেন ফকির৷