Rupa-Photo-2

দৈনিকবার্তা-পাবনা, ৯ মে: ব্রিটেনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশী বংশোভূত ড. রুপা হকের বাড়ী পাবনায়। বিজয়ে খবরে মানুষ মানুষ খুবই আননন্দিত হয়েছে। বিদেশে রূপার এই বিজয় অর্জনের খবরে আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েছেন গ্রামের বাড়ী পাবনার স্বজনেরা-আননন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে তাদের মাঝে। রূপার দাদা পাবনা সদরের মোকছেদপুর এলাকার মরহুম আজিজুল হক ও নানা শহরের কুঠিপাড়া এলাকার মরহুম মুসা বিশ্বাস। এসব এলাকার মানুষরাও ব্রিটেনে নির্বাচনে রুপার জয়ের খবর জেনে বড় আনন্দিত-উল্লসিত। সকলের প্রত্যাশা ও বিশ্বাস সবার আদরের রূপা ব্রিটেনে বসবাসকারী বাংলাদেশী অভিবাসীদের জন্য কাজ করে যাবেন। গুরুত্ব দেবেন নিজ দেশের মানুষের সুবিধা-অসুবিধাগুলো।

স্থানীয়রা জানান, রূপার পিতা মনছের আলী ও মা দুলালী হক ১৯৭০ সালে চলে যান ব্রিটেনে। সেখানেই ১৯৭২ সালে জন্ম হয় রুপার। কে জানতো সেই রূপাই একদিন হবেন ব্রিটেনের পার্লামেন্টের নির্বাচনে বিজয়ী। খুশির এ খবর জেনে আনন্দে অশ্রুসজল হয়ে পড়েন তার নিকট আত্মীয়-স্বজন, উল্লসিত এলাকাবাসী।প্রতিক্রিয়ায় কুঠিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রূপার বড় মামা আবুল বাছেদ বিশ্বাস ও ছোট মামা সবুজ বিশ্বাস বলেন, আমাদের ভাগ্নি ব্রিটেনের নির্বাচেন জয়ী হওয়ায় আমরা খুবই খুশি। আমরা কল্পনাও করতে পারিনি সে এত বড় অবস্থানে যেতে পারবে। এটা শুধু আমাদের জন্য নয়, পাবনাবাসী তথা বাংলাদেশের জন্য গৌরবের।

রূপার মামী রিজিয়া বিশ্বাস বলেন, খবরটা শুনে আমার ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। মনে হচ্ছে তাকে কাছে পেলে আনন্দ আরও বেশি হতো। দোয়া করি মেয়েটা যেন বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের মুখ উজ্জল করে। রুপা ব্রিটেনে বসবাসকারী বাংলাদেশী অভিবাসীদের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন, নিজ দেশের মানুষের সুবিধা-অসুবিধাগুলো গুরুত্ব দেবেন এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা। লন্ডনের অন্যতম আলোচিত ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসনে লেবার পার্টির প্রার্থী রূপা হক ২২ হাজার দুই ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী এঞ্জি ব্রে পেয়েছেন ২১ হাজার ৭২৮ ভোট। রূপা হক কিংস্টন ইউনিভার্সিটির সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। উল্লেখ্য, রূপা হক বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের ফুপাতো বোন।