hannan

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৯ মে: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রি. জে. (অব.) আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, পিন্টুর মৃত্যুর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের শাস্তি ও বিচারের দাবি জানাই আমি। আর এর জন্য দলের পক্ষ থেকে আন্দোলন হবে।গত ২ মে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কারাবন্দী নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যুর পর থেকেই বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে।খোদ বিএনপিপ্রধানও বলেছেন, পিন্টুকে সরকার পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনো রহস্য আছে কি না এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল উল্লেখ করে হান্নান শাহ আরো বলেন, ‘এই তদন্ত কমিটি আমরাপ্রত্যাখান করে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য আবেদন জানাচ্ছি। আর আমরা যদি প্রয়োজন মনে করি তাহলে বিএনপির পক্ষ থেকেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

শনিবার বিকেলে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রদল আয়োজিত দোয়া-মাহফিল ও মোনাজাতে তিনি এসব কথা বলেন। নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।হান্নান শাহ অভিযোগ করেন, নাসির উদ্দিন আহমেদের বড় ছেলে কানাডায় লেখাপড়া করছেন। তার বাবার মৃত্যুর সংবাদ শুনে তিনি ঢাকায় আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ঢাকায় আসলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে হুমকি দেয়া হয়েছিল। তাই পিন্টুর বড় ছেলেকে আমরা বলেছিলাম, তোমাকে এখন ঢাকায় আসতে হবে না। সময় হলে তুমি ঢাকায় এসে বাবার কবর জিয়ারত করবে এবং রাজনৈতিক প্রতিশোধ নেবে।

তিনি বলেন, পিন্টুসহ বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা সরকারের হাতে যেভাবে গুম ও খুন হয়েছেন তা আমরা স্মরণ রাখতে চাই এবং এর প্রতিশোধও আমরা নিতে চাই। এরজন্য হয়তো আমাদের কিছুটা সময় লাগবে। কিন্তু এতে আমি নিরাশ হবো না। নাসির উদ্দিন আহমেদ যেভাবে মারা গেছেন এরজন্য আমি ক্ষমতাসীনদের প্রতি নিন্দা জানাবো না। সরকারের স্বৈরাচারী শাসনের জন্য আল্লাহর গজব পড়বে এই কথাও আমি বলি না। কারণ, দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সরকারকে জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করবে এটা আমি মানি এবং বিশ্বাস করি।নাসির উদ্দিন আহমেদের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘পিন্টুর জায়গা অন্য কেউ লালবাগ বা অন্য কোথাও থেকে পূরণ করতে পারবে না। কিন্তু এতে আমাদের হতাশ হলে চলবে না, আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

ছাত্রদলকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, রাজপথে ছাত্রদলের যে ভূমিকার রাখার কথা ছিল তা রাখতে ছাত্রদল ব্যর্থ হয়েছে। তারা রাজপথে নামতে পারছে না।একই অনুষ্ঠানে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, আমি জানতে পেরেছি বাংলাদেশের দুই নেত্রীকে বৈঠকে বসার জন্য জাতিসংঘ উদ্যোগ নিয়েছে। জাতিসংঘ যদি এই উদ্যোগ নিয়ে থাকে বা পদক্ষেপ নিয়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক সঙ্কট দূর হবে, অন্যথায় নয়।তিনি বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সংলাপ ও সমঝোতা অনিবার্য। সংলাপ ছাড়া আমাদের সামনে অন্য কোনো পথ নেই।

আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলটের সভাপতিত্বে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান, সাবেক সহ-সভাপতি জাবেদ হাসান স্বাধীন প্রমুখ।