Capture52

দৈনিকবার্তা-ময়মনসিংহ, ১১ মে: ২৫২ জন শিক্ষার্থী।শিক্ষক ১ জন।সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার এ হাল ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটী ইউনিয়নের পেচাংগীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা। বিস্কুট বিতরণ আর নাম ডেকেই চলে যায় সময়। পাঠ কার্যক্রম নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা অসন্তোষ। শত স্বপ্নের ঘটচ্ছে মৃত্যু। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন। নিশ্চুপ শিক্ষা বিভাগ!কৃষক আব্দুর রহিমের স্বপ্ন ছিল সেলিমকে ডাক্তার বানাবে।

৫ম শ্রেণির ছাত্রী আফরোজা আক্তারের চোখে পুলিশ অফিসার হওয়ার স্বপ্ন আঁকছে। ৩য় শ্রেণির সোহেল হতে চায় পুলিশ। লায়লা আক্তার পছন্দ করেন ডাক্তারের পোশাক। শিক্ষক হতে চায় লিলি। এতো স্বপ্নের বিদ্যাপীঠ! ভংগুর পাঠদান কার্যক্রম। প্রধান শিক্ষক মোঃ ইমাম হোসেন একমাত্র ভরসা। প্রধান শিক্ষক জানান, এ বিদ্যালয়ে ৪জন শিক্ষক কর্মরত আছেন। স্বামীর সঙ্গে উজবিকিস্থানে চলে যাওয়ায় সহকারি শিক্ষক অযুদা বেগম ২৮নভেম্বর/১৩ইং তারিখ থেকে অনুপসি’ত। সহকারি শিক্ষক শিউলী আক্তার বিপিএড প্রশিক্ষণে আর মাতৃত্ব ছুটিতে রয়েছে সহকারী শিক্ষক সুলতানা বেগম।বিদ্যালয়টিতে শিশু শ্রেণিতে ২৮জন, ২য় শ্রেণিতে ৪১জন, ৩য় শ্রেণিতে ৩৫জন, ৪র্থ শ্রেণিতে ২০জন ও ৫ম শ্রেণিতে ১৪জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। নিয়মিত পাঠদান না হওয়ায় পড্রতিবছর কমচ্ছে শিক্ষার্থী।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে নির্মিত বিদ্যালয়ের ভবনটিও ঝুঁকিপূর্ণ। ভিমে ফাটল ধরেছে। পলেস্তার ধসে পড়চ্ছে। অভিভাবকরা জানান, সকালের শিফটে শিশু শ্রেণি, ১ম ও ২য় শ্রেণির ৩টি ক্লাস ও বিকালের শিফটে ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়। ১জন শিক্ষক তাদের নাম ডাকা ও বিস্কুট বিতরণ করতে করতেই সময় শেষ হয়ে যায়। পাঠদানের সুযোগ নেই। শিক্ষার্থীদের ইচ্ছাশক্তি ধ্বংস হচ্ছে। ঘটচ্ছে স্বপ্নের মৃত্যু!শিক্ষক সংকটের কারণে ছাত্রছাত্রীরা লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে উল্লেখ করে ম্যানেজিং কমিটি সভাপকি মোঃ আজিজুল হক জানান, দ্রুত শিক্ষক সমস্যা সমাধানের জন্য স্বশরীরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিকট গিয়ে আবেদন করেছি।ক্ষুব্ধ অভিভাবক আব্দুল হামিদ জানান, আমরার পুলাপান ( ছেলেমেয়ে) যাতে মানুষ না হতে পারে, সেই ষড়যন্ত্র এখনও চলছে। ক্লাস রুমে কথা বলার সময় ভবনের ছাদের পলেস্তার ধসে আহত হয় ২জন ছাত্র। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জহির উদ্দিন জানান, ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।