DoinikBarta_দৈনিকবার্তা_1430652780

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ জুন: প্রস্তাবিত বাজেটে করের পরিধি বাড়ানোর ফলে সাধারণ জনগণ যেন চাপের মুখে না পড়ে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের বাজেট সম্পর্কে ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।এ সময় রাজনৈতিক বিবেচনায় সুদ মওকুফ সংস্কৃতি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে দুর্নীতি হ্রাস ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা অর্থনীতির গতি বৃদ্ধির সহায়ক হলেও প্রস্তাবিত বাজেটে এ বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।এছাড়া উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতায় সমতা আনা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন মেনন।বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ অর্জন সম্ভব হলেও এর সুফল তৃণমূল জনগণের কাছে পৌঁছায় না। শুধুমাত্র দুর্নীতির কারণে প্রবৃদ্ধির লাভের গুড় পিঁপড়ায় খেয়ে যায়। দূর্নীতি বন্ধ করা গেলে প্রবৃদ্ধির হার আরও ২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা সম্ভব হতো। মেনন বলেন, দুর্নীতি হ্রাস ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়টি বাজেটে গুরুত্বহীন বলে মনে হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি।তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতকে দুষ্টচক্রের কবল থেকে মুক্ত করার মধ্য দিয়ে ঋণ খেলাপীদের হাত থেকে এ খাতকে রক্ষা করতে হবে। রাজনৈতিক বিবেচনায় সুদ মওকুফের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।

বাজেটে ১৫ লক্ষ লোকের দক্ষতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে বাদশা বলেন, কর্মসংস্থানের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এ বাজেটে অস্পষ্ট। যা দেশকে দারিদ্রমুক্ত করার স্বপ্ন বাস্তবায়নের অন্তরায় হতে পারে।বাদশা বলেন, আমাদের দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণ। কিন্তু যে কৃষক এ বিশাল অগ্রগতি অর্জনে ভুমিকা রেখেছে সেই কৃষকের উৎপাদিত পণ্য ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত। বাজেটে বাস্তবতা স্বীকার করা হলেও কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য প্রদানে কি ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে সেটা উল্লেখ করা হয়নি।বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও তথ্য প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ বাড়ানোরপ্রস্তাব করে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে কর আরোপ এর ব্যবহারকে স্থবির করবে।স্থানীয় সরকারের বিষয়ে বাজেট বরাদ্দে সুস্পষ্ট কোন কথা বলা হয়নি, এমন কি স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে তৃণমূল গণতন্ত্র চর্চার কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনায় আনা হয়নি। এছাড়া প্রসাশনের কেন্দ্রীকরণের পরিবর্তে বিকেন্দ্রীকরণ প্রসঙ্গটি উপস্থাপিত বাজেটে অনুপস্থিত।সনাতন আদিবাসীদের আত্ম-সামাজিক উন্নয়নে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান এবং পার্বত্য শান্তিচুক্তির দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তিনি।সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য বিমল বিশ্বাস, কামরুল আহসান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এনামুল হক এমরান, তপন দত্ত চৌধুরী প্রমুখ।