S KHOKONE

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৯ জুন: খাদ্যে ভেজাল দেখলেই জেল-জরিমানা করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন।শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে রাজধানীর চকবাজার এলাকায় খোলা মার্কেটে ইফতারি বিক্রি পরিদর্শনকালে তিনি এ ঘোষণা দেন। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহবুব ও ২৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির।এসময় তিনি বিভিন্ন দোকান ঘুরে ঘুরে বিক্রেতাদের খাদ্যে রঙ ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা জিজ্ঞেস করেন।পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে খাদ্যে ভেজালবিরোধী অভিযানে ১০টি টিম কাজ করছে। তারা খাবারে রঙ, খোলা খাবার ও মরা মুরগি ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা এ ব্যাপারে নজর রাখবেন। সন্দেহ হলে খাবার পরীক্ষা করেও দেখবেন। ভেজাল পাওয়া গেলে পরবর্তীতে ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে জেল-জরিমানা করা হবে।

বৃহস্পতিবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ভেজাল খাবারের বিষয়ে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না যে যত শক্তিশালীই হোক না কেন শাস্তির আওতায় আনা হবে সবাইকে জানিয়েছেন । তবে শুধুমাত্র অভিযান পরিচালনা করেই ভেজালমুক্ত খাবার নিশ্চিত করা সম্ভব নয় এ কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী এ বিষয়ে ক্রেতা বিক্রেতা সকলকেই সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআই গৃহিত কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ভেজাল খাবারের বিষয়ে এবার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এ কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশে রমজান মাসজুড়ে ভেজালবিরোধী বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করা হবে।আমু বলেন, যখন-তখন, যেকোনো সময় এবং যেকোনো জায়গায় আকস্মিক অভিযান চলবে। এ ক্ষেত্রে ফুটপাত থেকে বড় কারখানা সবখানেই অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, ইফতার ও সেহরীতে অধিক পরিমাণে ব্যবহার করা হয় এমন ৩০টি খাদ্যপণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।মন্ত্রী বলেন, ভেজাল খাবার দিয়ে যে ব্যবসায়ী ক্ষতি করছে সে এবং তার পরিবারও ক্ষতির মুখে পড়তে পাওে ব্যবসায়ীরা এভাবে ভাবলে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

পবিত্র রমজান মাসে ভোক্তা পর্যায়ে ভেজালমুক্ত খাদ্য-পানীয় ও পণ্যসামগ্রী সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ স্টান্ডার্ডস এন্ড টেষ্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) যখন-তখন, যেখানে-সেখানে অভিযান পরিচালনা ও মান পরীক্ষা করবে।শিল্পমন্ত্রী বলেন, অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে কোন্ ফ্যাক্টরি বা প্রতিষ্ঠানটি কোন ক্ষমতাবান ব্যক্তির বা পরিবারের- তা বিবেচনায় আনা হবে না।তিনি বলেন, এমনকি রাস্তার পাশে যে সরবত ও খাবার বিক্রি হয়, সেখানেও অভিযান পরিচালনা ও মান পরীক্ষা করা হবে।