লালবাগ কেল্লায় স্থাপনা নির্মাণ

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ জুন: মোঘল স্থাপত্য লালবাগ কেল্লার দেয়াল ভেঙে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য স্থান নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব নির্মাণ কাজ বন্ধ করতেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।এক রিট আবেদনের টওাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্ময়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার দুপুরে এ আদেশ দেন।একইসঙ্গে প্রত্মতত্ত্ব সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী লালবাগ কেল্লাকে সংরক্ষণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এছাড়া লালবাগ কেল্লাকে কেন আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। সংস্কৃতি সচিব, প্রত্মতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও লালবাগ কেল্লা থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্টদেরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গাড়ি রাখার জায়গা করতে কেল্লার দেয়াল ভাঙার বিষয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদনের সূত্র ধরে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করে। এরপর ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় সংসদেও কথা হয়। এরপর বিষয়টি উচ্চ আদালতে নজরে এনে রিট দায়ের করেন এক আইনজীবী।প্রতœতত্ত্ব বিভাগের মহা পরিচালক, ঢাকা বিভাগীয় উপ পরিচালক, লালবাগ কেল্লার কিউরেটর এবং লালবাগ থানার ওসিকে ওই কাজ বন্ধের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে তাদের ৫ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে।

এ বিষয়ে দুটো রুলও জারি করেছে আদালত।প্রতœতত্ত্ব সংরক্ষণ আইনের ১২ (৩) ধারা এবং সংবিধানের ২৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে লালবাগ কেল্লা ও স্থাপনা সংরক্ষণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে একটি রুলে।আর কেল্লার দেয়ালের যে অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে, তা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে অন্য রুলে।সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রতœতত্ত্ব বিভাগের মহা পরিচালকসহ পাঁচ বিবাদীকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আদালতে এ বিষয়ে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারলে তাপস কুমার বিশ্বাস।আদেশের পর মনজিল মোরসেদ বলেন, দুটি পত্রিকায় এসেছে, কেল্লার দেয়াল ভেঙে গাড়ি পার্কিং এর জায়গা হচ্ছে। আইন অনুসারে এর কোনো সুযোগ নেই, এটি অবৈধ। তাই কেল্লার বৈশিষ্ট যাতে পরিবর্তন করা না হয় এবং আইন অনুসারে যাতে সংরক্ষণ করা হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা চেয়ে এই রিট আবেদন করা হয়েছে।