Doinikbarta-komlapur

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৯ জুলাই ২০১৫: ঈদেট্রেনের আগাম টিকেট কিনতে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে চলছে সেই চিরচেনা সংগ্রাম৷মানুষের দীর্ঘ সারি রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ছাড়িয়ে বাইরের দিকে চলে গেছে অনেকটা দূর পর্যন্ত বুধবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে ভিড়৷কেউ এসেছেন ইফতারি সেরেই৷কেউ-বা সেহ্রি শেষ করে৷ সবার লক্ষ্য একটাই কাঙি্ক্ষত তারিখে নির্দিষ্ট গন্তব্যের প্রয়োজনীয় টিকিট চাই৷ ট্রেনের টিকিট৷পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার থেকে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে৷ ঢাকার কমলাপুর ও চট্টগ্রাম স্টেশনসহ দেশের বিভিন্ন স্টেশনের কাউন্টার থেকে সকাল নয়টা থেকে শুরু হয়েছে আগাম টিকিট বিক্রি৷ আর এই টিকিটের জন্য প্রতিটি স্টেশনের কাউন্টারেই শত শত মানুষের ভিড়৷

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ৯ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন টিকিট বিক্রি করা হবে৷ বৃহস্পতিবার বিক্রি হচ্ছে ১৩ জুলাইয়ের টিকিট৷ কাল ১০ জুলাই দেওয়া হবে ১৪ জুলাইয়ের টিকিট৷ ১১ জুলাই ১৫ জুলাইয়ের, ১২ জুলাই ১৬ জুলাইয়ের, ১৩ জুলাই বিক্রি হবে ১৭ জুলাইয়ের টিকিট৷ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের আন্তনগর, মেইল ও লোকাল ট্রেনের আসনসংখ্যা প্রায় ৩৮ হাজার৷ এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বিশেষ ট্রেন৷ সব মিলিয়ে ঢাকা থেকে প্রায় ৫০ হাজার যাত্রী প্রতিদিন ট্রেনে চড়ে বাড়ি যেতে পারবেন৷ একইভাবে চট্টগ্রাম থেকে আন্তনগর, মেইল ও লোকাল ট্রেনের আসনসংখ্যা প্রায় ১০ হাজার৷ কিন্তু ঈদ উপলক্ষে ১২-১৩ হাজার যাত্রী ট্রেনে চড়ে গন্তব্যে যেতে পারবেন৷

বৃহস্পতিবার সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে শত শত মানুষের সারি৷ টিকিট-প্রত্যাশীদের ভিড়ে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই পরিপূর্ণ হয়ে গেছে রেলস্টেশন৷ সকাল নয়টায় টিকিট বিতরণ শুরু হলে তাদের মধ্যে এক ধরনের স্বস্তি নেমে আসে৷ তবে পরক্ষণেই শুরু হয় আরেক ধরনের শঙ্কা্তশেষমেশ টিকিট মিলবে তো!আল আমিন নামের এক টিকিট-প্রত্যাশীর ভাষ্য, গতকাল বুধবার ইফতারির পর কমলাপুরে এসেছেন তিনি৷ টিকিট পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হতে এ কাজ করেছেন তিনি৷ মেহরুননেসা নামে একজন বললেন, কষ্ট করে হলেও টিকিট পাওয়া গেছে৷ এবার বাড়ি যাওয়ার পালা৷কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক সীতাংশু চক্রবর্তী বলেন, সকাল নয়টা থেকে টিকিট বিতরণ শুরু হয়েছে৷ চলবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত৷ যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অনিয়ম ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে৷

এদিকে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রেলযাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক৷ এ জন্য সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে৷ পাশাপাশি আগামী জানুয়ারিতে রেলে ২৭০টি নতুন বগি যোগ হচ্ছে বলেও জানান তিনি৷ ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রির প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী৷সকাল ১০টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে আসেন মুজিবুল হক৷ অগ্রিম টিকিটের জন্য অপেক্ষমাণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন৷ তাদের নানা অভিযোগ শোনেন৷ পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রেলপথমন্ত্রী৷মুজিবুল হক বলেন, রেলে যাতায়াত সাশ্রয়ী, আরামদায়ক ও নিরাপদ৷ এই জন্য অন্য পরিবহনের চেয়ে রেলে মানুষ যাতায়াত করতে পছন্দ করেন৷ এই ঈদে রেলের শতভাগ সক্ষমতা ব্যবহার করে যাত্রীদের আনা-নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে৷ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন বিভিন্ন রুটে ২ লাখ ৫০ হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী৷ঈদে ট্রেনের সময়সূচিতে যাতে বিপর্যয় না হয়, সে জন্য সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান মুজিবুল হক৷ তিনি বলেন, ‘সময়সূচি বিপর্যয় কোনোভাবেই মানা যায় না৷ সময়সূচি বিপর্যয় ঠেকাতে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রসঙ্গে রেলপথমন্ত্রী বলেন, রেলের নিজস্ব নিরাপত্তাব্যবস্থা আছে৷ সঙ্গে যোগ হয়েছে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি৷ কোথাও যাতে টিকিট কালোবাজারি না হয়, যাত্রীরা যাতে মলম ও অজ্ঞান পার্টি দ্বারা আক্রান্ত না হন, সে জন্য তারা (আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী) কাজ করছে৷ ট্রেনের ছাদে চলাচল করা বেআইনি উল্লেখ করে যাত্রীদের উদ্দেশে মুজিবুল হক বলেন, আপনারা কেউ ছাদে উঠবেন না৷

রেলপথমন্ত্রী আরও বলেন, ভারত ও ইন্দোনেশিয়া থেকে ২৭০টি বগি আনার দরপত্র চূড়ান্ত হয়ে গেছে৷ আগামী জানুয়ারিতে এগুলো রেলে যোগ হলে যাত্রীদের ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমবে বলে বিশ্বাস মুজিবুল হকের৷অন্যদিকে, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি)বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার থেকে৷বিআরটিসির মতিঝিল, জোয়ারসাহারা, কল্যাণপুর, গাবতলী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর দ্বিতল বাস ডিপো, গাজীপুর বাস ডিপো, নারায়ণগঞ্জ বাস ডিপো ও ঢাকার ফুলবাড়িয়া সিবিএস-২ থেকে যাত্রীরা অগ্রিম টিকিট কিনতে পারবেন৷ এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিআরটিসি৷বিআরটিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখী যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১৪ থেকে ২০ জুলাই বিআরটিসির বাসে ঈদের বিশেষ সেবা দেওয়া হবে৷

বিআরটিসি সূত্র জানায়, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ডিপোসহ মোট ৯০০টি বাস এই সেবায় অন্তর্ভুক্ত হবে৷ বাসগুলো ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ডিপো থেকে যাত্রীদের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে দেবে৷ এ ছাড়া ঈদের আগের দিন সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী ডিপো থেকে যাত্রী চলাচলের সুবিধার্থে ৫৫টি বিআরটিসির বাস স্ট্যান্ডবাই থাকবে৷যাত্রীদের সুবিধার্থে বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়ের একটি হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে৷ এই ডেস্কের ফোন নম্বর হচ্ছে: ৯৫৬৪৩৬১ এবং মোবাইল নম্বর হচ্ছে: ০১৮১৮২০২১৮৬৷ যেকোনো তথ্য জানতে এসব ফোন নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য বিআরটিসির পক্ষ থেকে যাত্রীদের অনুরোধ জানানো হয়েছে৷

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিসির পরিচালক (কারিগরি) কর্নেল এ আর মোহাম্মাদ পারভেজ মজুমদার বলেন, ঈদ যাত্রীদের যাতায়াত নিশ্চিত করতে বিআরটিসির পক্ষ থেকে বিশেষ সেবার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ এর অংশ হিসেবে আগামীকাল থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে৷ তিনি বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ভাড়াই নেওয়া হবে৷ কোনো অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হবে না৷বিআরটিসিতে অতিরিক্ত ভাড়া বা বকশিশের কোনো সুযোগ নেই৷ প্রত্যেক টিকিট কাউন্টারে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা টানানো থাকবে৷ যাত্রীরা নির্ধারিত ভাড়ায় টিকিট নিতে পারবেন৷ ঢাকার পাশাপাশি অন্য জেলাগুলোতেও আগামীকাল থেকে অগ্রিম টিকিট ছাড়া হবে বলে জানান তিনি৷

জানা গেছে, অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায়৷ কিন্তু বরাবরের মতোই আগের রাতে এসে কাউন্টারের সামনে অবস্থান নেন অনেকে৷সকালে যখন কাউন্টার খোলা হল, টিকেটের আশায় তখন লাইনে দাঁড়িয়ে হাজারো মানুষ৷ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও সিলেটেও এদিন রেলের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে৷প্রথম দিন দেওয়া হচ্ছে ১৩ জুলাইয়ের টিকেট৷ আর শুক্রবার পাওয়া যাবে ১৪ জুলাইয়ের৷এছাড়া ১১ জুলাই ১৫ তারিখের, ১২ জুলাই ১৬ তারিখের এবং ১৩ জুলাই ১৭ তারিখের টিকিট পাওয়া যাবে৷সকাল ৯টায় কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, কোনো কাউন্টারের সামনেই তিলধারণের যায়গা নেই৷চট্টগ্রামের টিকেট কিনতে আসা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নুরন্নবী সোহাগ জানান, তিনি লাইনে জায়গা নিয়েছেন রাতেই৷সেহরি খেয়েই এখানে চলে এসেছি৷আমি এসেও অনেককেলাইনে পেয়েছি৷ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে ঈদের আগাম টিকিট কিনতে আসা মানুষের ভিড়৷ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে ঈদের আগাম টিকিট কিনতে আসা মানুষের ভিড়৷ঈদে ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রির পৃথম দিন বৃস্পতিবার কমলাপুর স্টেশনে টিকেট প্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভিড়৷

ঈদে ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রির প্রথম দিন বৃস্পতিবার কমলাপুর স্টেশনে টিকেট প্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভিড়৷দিনাজপুরের টিকেট নিতে আসা মকসুদুল ইসলামও ভোররাতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন৷ সকালে টিকেট পাওয়ার পর রাতের কষ্ট ভুলেছেন তিনি৷বছরে দুইবার মাত্র বাড়ি যাওয়া হয়৷ সবাই মিলে ঈদ করব, সুতরাং একটু কষ্ট হলেও সেটা মেনে নিই৷কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক সীতাংশু চক্রবর্তী বলেন, যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অনিয়ম ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে৷এছাড়া ১৭ জুলাই ২১ তারিখের,১৯ জুলাই ২২ ও ২৩ তারিখের এবং ২০ জুলাই ২৪ তারিখের আগাম টিকেট মিলবে৷ঈদের পরে রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় টিকিট বিক্রি হবে৷রেল মন্ত্রণালয় এবার ঈদেও পাঁচ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর ঘোষণা দিয়েছে৷ঈদের আগে ১৫-১৭ জুলাই এবং পরে ২০-২৬ জুলাই দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল, চাঁদপুর স্পেশাল, পার্বতীপুর স্পেশাল এবং খুলনা স্পেশাল নামে এসব বিশেষ ট্রেন চলবে৷এবছর ঈদে আড়াই লাখেরও বেশি যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ঘোষাণা দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ৷

চট্রগ্রাম: পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে৷ কিন্তু যাত্রীদের চাহিদা কম থাকায় প্রথম দিনের টিকেট বিক্রি জমে উঠেনি৷বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে নগরীর নতুন রেলস্টেশনে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়৷ প্রথম দিনে আগামী ১৩ জুলাই এর অগ্রিম টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে৷কিন্তু দুপুর ১২টা পর্যন্ত বরাদ্দ টিকেটের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ টিকেট বিক্রি হয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়৷ রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান, প্রথম দিনের জন্য ৪ হাজার ১৭১ টিকেট বরাদ্দ করা হয়েছে৷ এর মধ্যে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ হাজার ৩৫০ টিকেট বিক্রি হয়েছে৷ প্রথম শ্রেণি ও এসি টিকেটের চাহিদা ছিল বেশি৷ এছাড়া অন্যান্য শ্রেণির টিকেটের তেমন একটা চাহিদা নেই৷ সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, রেলস্টেশনে অন্যান্যবারের মতো নেই যাত্রীদের ভিড়৷ রাত থেকেও এসে লাইনে দাঁড়াননি কেউ৷ টিকেট নেওয়ার জন্য যাত্রীরা সকাল থেকে এসে লাইন ধরে৷ সকাল ১১টার মধ্যেই তারা টিকেট নিয়ে চলে যায়৷ বেলা ১২টার পর বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকজন যাত্রী এসে টিকেট সংগ্রহ করে৷ এর কারণ হিসেবে টিকেট বিক্রয় কর্মকর্তারা বলেন, ১৩ জুলাই (সোমবার) অফিস-আদালত খোলা থাকবে৷ এজন্য ১৩ তারিখের টিকেটের চাহিদা কম৷ আশা করছি ১৫, ১৬, ১৭ জুলাইয়ের টিকেটের জন্য যাত্রীদের উপস্থিতি বাড়বে৷ প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত টিকেট দেওয়া হবে৷ দিনের জন্য বরাদ্দ টিকেট থাকা সাপেক্ষে যাত্রীরা টিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন৷

অগ্রিম টিকেট বিক্রিতে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এবং সকল ধরনের অনিয়ম, কালোবাজারি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ৷ সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত রয়েছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও রেলওয়ে পুলিশ৷স্থাপন করা হয়েছে র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্প৷রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আজ থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে৷ এখনো বিক্রি চলছে৷ তবে টিকেটের চাহিদা কম৷ দুই-তৃতীয়াংশ টিকেট এখনো অবিক্রিত রয়ে গেছে৷বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত টিকেট বিক্রি চলবে৷একজন যাত্রী সব্বোর্চ চারটি টিকেট নিতে পারবেন৷ টিকেট থাকা সাপেক্ষে যাত্রীরা টিকেট নিতে পারবেন৷ টিকেট বিক্রিতে কোন অনিয়ম হবে না৷