ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পবিত্র জুমাতুল বিদা পালিত

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৭ জুলাই ২০১৫ : যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শুক্রবার পবিত্র জুমাতুল বিদা পালিত হয়েছে।পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার জুমাতুল বিদা হিসেবে পালিত হয়।রমজান মাসজুড়ে পবিত্র রোজা রাখা আর ইবাদত-বন্দেগির পর আজ দেশের ধর্মপ্রাণ কোটি কোটি মুসল্লি এই পবিত্র রমজান মাসকে বিদায় জানাতে জুমার নামাজে শরিক হন। জুমাতুল বিদা মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পুণ্যবহ দিন হওয়ায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ রাজধানীর সবগুলোতে মসজিদে এবং সারা দেশের মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়।আজকের জুমাতুল বিদার খুতবায় উচ্চারিত হয় আল বিদা, আল বিদা, ইয়া শাহরু রামাজান। অর্থাৎ বিদায়, বিদায় হে মাহে রমজান।রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজানের শেষ জুমা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পালন করে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এমনিতেই সপ্তাহে জুমার দিন অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ। তদুপরি রমজানের মাস হওয়ায় এবং রমজানের শেষ জুমা হওয়ায় এই দিনটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়।ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্র জানায়, জুমাতুল বিদায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি এবং কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়।জুমাতুল বিদার এ দিনটি আল-কুদস দিবস হিসেবেও পালিত হয়।

জুমাতুল বিদা উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ রাজধানীর বড় মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের ভিড় দেখা যায়।জুমার আযানের আগেই বায়তুল মোকাররমে প্রায় সব জায়গা ভরে যায় মুসল্লিতে। অনেকে জায়গা না পেয়ে বায়তুল মোকাররম মার্কেট এবং বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম মার্কেটের ফ্লোরে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।রমজান মাসের শেষ জুমার নামাজ তথা জুমাতুল বিদা বিশেষ গুরুত্ব সহকারে আদায় করেন সারা বিশ্বের মুসলমান।বস্তুত জুমাতুল বিদার মধ্য দিয়ে পবিত্র রমজানকে বিদায় জানানো হয়। এই দিনের খুতবায় উচ্চারিত হয় আল বিদা, আল বিদা, ইয়া শাহরু রামাজান’। অর্থাৎ বিদায় বিদায় হে মাহে রমজান।মসজিদগুলোতে খতিবরা বিশেষ খুতবা প্রদান এবং দোয়া ও মোনাজাত করেন। খুতবায় জুমাতুল বিদার গুরুত্ব ছাড়াও পবিত্র লাইলাতুল কদরের তাৎপর্য, জাকাত ফিতরা এবং ঈদুল ফিতরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব অধ্যাপক মাওলানা মো. সালাহউদ্দিন তার খুতবায় বলেন, কোরআন নাজিলের মাস রমজান মাসের বিদায় হতে চলেছে। এতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের চোখে পানি এসে যায়। কারণ আগামী বছর রমজান মাস সবার ভাগ্যে জুটবে কিনা তা নিশ্চিত নয়।তিনি বলেন, গম বা আটার হিসাবে এবার সর্বনিম্ন ফিতরা ৬০টাকা। তবে সামর্থ অনুযায়ী জব, কিসমিস, খেজুর বা পনিরের হিসাবে ফিতরা দেয়া যেতে পারে।