118737Untitled

দৈনিকবার্তা-পটুয়াখালী, ২৭ জুলাই: পটুয়াখালী শহরে পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী তরিকুল ইসলাম তরু র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। সোমবার ভোর রাতে পটুয়াখালী বিসিক শিল্প নগড়ী এলাকায় সন্ত্রাসী তরুর সাথে র‌্যাবের এই বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটলে তরু গুলিবিদ্ধ হয়। পরে র‌্যাব সদস্যরা তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ সময় তার কাছ থেকে দেশী বিদেশী অগ্নেয়াস্ত্র সহ বিপূল পরিমান ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। এদিকে গত দশ দিন যাবত তরু নিখোঁজ ছিলো বলে আগেই তরুর পরিবারের পক্ষ থেকে সদর থানায় একটি জিডি করা হয়েছিলো।

র‌্যার ৮ পটুয়াখালী ক্যাম্পের অধিনায়ক ফজলুর রহমান জানান, টহলরত অবস্থায় পটুয়াখালী বিসিক শিল্প নগড়ী এলাকায় র‌্যাব অভিজান চালালে তরু ও তার বাহিনীর সদস্যরা র‌্যাব কে লক্ষ করে গুলি বর্ষন করে। এ সময় র‌্যাব আত্মরক্ষার্তে পাল্টা গুলি করে। দু পক্ষের গোলা গুলির এক পর্যায়ে এক যুবকের রক্তাত দেহ পরে থাকলে র‌্যাব তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক এ সময় তাকে মৃত ঘোষনা করেন। তরুর কাছ থেকে দেশীয় তৈরী দুটি এলজি, একটি দেশী পিস্তল ও একটি বিদেশী পিস্তল সহ পিস্তলের গুলি ৬ টি, এলজির কার্তুজ ৭ টি, পিস্তলের গুলির খোসা ২টি ও এলজির কার্তুজের ৮টি খোসা, দুটি ম্যাগজিন ও ৬ শ ৪৪ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় র‌্যাব ৮ পটুয়াখালী ক্যাম্পের ডিএডি মনসুর আহমেদ বাদী হয়ে সদর থানায় সরকারী কাজে বাঁধাদান, মাদকদ্রব্য ও অগ্নেয়াস্ত্র আইনে মোট তিনটি মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে গত ১৭ জুলাই থেকে তরু নিখোঁজ রয়েছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে ২১ জুলাই পটুয়াখালী সদর থানায় তুরুর স্ত্রী রেখা বেগম একটি সাধারণ ডায়রি করেন।উল্লেখ্য পটুয়াখালী সদর থানা সহ বিভিন্ন থানায় তরুর বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজী, মাদক দ্রব্য সহ অন্তত ১৪ টি মামলা রয়েছে বলে জনাগেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।