27-07-2015-300x199

দৈনিকবার্তা-পাঁচবিবি (জয়পুরহাট), ২৮ জুলাই: জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা ডাকঘরটি কয়েক বছর আগে পরিত্যাক্ত ঘোষনার পরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে অফিস। পলেস্তরা খসে পড়ছে। দেয়াল গুলি স্যাঁতস্যাঁতে। ভবনের অনেক জায়গায় ছোট বড় ফাটল রয়েছে। রড বের হয়ে তাতে মরিচা পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে ছাদ চুয়ে মেঝেতে পানি পড়ে। পুরোভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ডাকঘরের সাথে সংযুক্ত আবাসিক ভবনে কেউ থাকেনা।

একটি টিউবওয়েল থাকলেও অধিকাংশ সময় অকেজো হয়ে পড়ে থাকে। খাবার ও টয়লেটে ব্যবহারের পানি বাহিরে থেকে আনতে হয়। মেইনগেট ভেঙ্গে যাওয়ায় সন্ধ্যার পর মাদক সেবীদের আড্ডা বসে। অনেক সময় মাদক সেবীরা প্রাচীর টপকে ভিতরে প্রবেশ করে। অনেক সমস্যার মাঝেও ডিজিটাল সেবা প্রদান করে আসছে ডাকঘরটি। বর্তমানে সাধারন মানি অর্ডার, ইএমপিএস, ইএমও, এমএমও, জিইপি’র মতো সার্ভিস চালু আছে। পাশাপাশি ৫ বছর মেয়াদী পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশন সঞ্চয়পত্র, মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, ডাকঘর সঞ্চয়পত্র, ডাকজীবন বীমাসহ অনেক সেবা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। চিঠিপত্রের আদানপ্রদান কমে গেলেও এসব সুযোগ সুবিধার কারণে প্রতিদিন উপজেলা ডাকঘরটিতে শত শত নারী-পুরুষ ভীড় জমায়।

পৌর এলাকার বাসিন্দা (পোষ্ট অফিস পাড়া) মোঃ আতিকুর রহমান (পান্না) বলেন, দূর থেকে দেখলে উপজেলা ডাকঘরটি পরিত্যক্ত ভবনের মতো মনে হয়। পোষ্টাল অপারেটর ইসলাম মিঞা জানান, ডাকঘরে পানির ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন নীমতলি বাজার থেকে আমাকে পানি আনতে হয়। পোষ্ট অফিসের একজন কর্মচারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন ১ বছর পূর্বে কর্তৃপক্ষ পরিদর্শনে এসে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করে গেছেন কিন্তু আজও কোন কাজ শুরু হয়নি। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনের পর দিন অফিস চালিয়ে যাচ্ছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। যে কোন সময় ধসে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।