দৈনিকবার্তা-গোপালগঞ্জ, ২ আগস্ট, ২০১৫: ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর টুঙ্গীপাড়ায় জাতির জনকের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে শোকের মাস অগাস্টের ৪০ দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। শনিবার প্রথম প্রহরে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে মোমবাতি জ্বালিয়ে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়ার পর সকালে দলীয় সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে টুঙ্গীপাড়া রওনা হন আওয়ামী লীগ নেতারা।
দুপুরে টুঙ্গীপাড়া পৌঁছে প্রথমে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন এবং গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতারাও এ সময় ফুল দিয়ে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এবার ৪০ দিন ধরে নানা কর্মসূচিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণের কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠন।
শনিবার সকাল সাড়ে ৬টায় জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল টুঙ্গীপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। প্রতিনিধি দলে অন্যানের মধ্যে ছিলেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, এভোকেট সাহারা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতিন খসরু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
এ ছাড়াও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এনামুল হক শামীম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও প্রতিনিধি দলে ছিলেন।
উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান খান, কেন্দ্রীয় নেতা এ কে এম রহমতুল্লাহ পরে টুঙ্গীপাড়ার কর্মসূচিতে যোগ দেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তা ও সৈনিকের হাতে সপরিবারে নিহত হন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
