Soumya Sarkar sewag
দৈনিকবার্তা- সিলেট, ০৫ আগস্ট ২০১৫: বিশ্বকাপের পর থেকে জাতীয় দলের হয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে তামিম ইকবালের যোগ্য পার্টনার হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন সৌম্য সরকার। এক বছরের মধ্যেই পরিণত হয়েছেন বাংলাদেশ দলের সেরা ওয়ানডে ব্যাটসম্যানে। এবার ভারতের গণমাধ্যমেও প্রশংসিত হলেন তিনি। সম্প্রতি ভারতের হার্ড-হিটার ওপেনিং ব্যাটসম্যান বীরেন্দর শেবাগের সাথে তুলনা করে খবর প্রকাশ করলো ভারতের ইংরেজি সংবাদ মাধ্যম ‘স্পোর্টস ক্রীড়া’। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনে ৮৮.১ ওভার খেলা হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আট উইকেটে ২৪৬ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। ওভারের হিসেবে রানের সংখ্যা কম হওয়ার পিছনে মূল কারণ উপরের সারির ব্যাটসম্যানদের ধীরগতির শুরু। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে ঢাকা টেস্টে সব চেয়ে বেশি স্ট্রাইকরেট ছিল সাকিব আল হাসানের। তিনি ৫৩.৮৫ স্ট্রাইকরেটে ৬৫ বলে ৩৫ রান করেন। তবে টানা উইকেট পড়তে থাকলে ব্যাটসম্যানদের উপর উইকেটে টিকে থাকা এবং রানের চাকা বাড়ানোর এক বিশাল বোঝা ঘাড়ে এসে পড়ে। আর এটাই হচ্ছে রান কম হওয়ার পিছনের প্রধান অন্তরায়। ফলে দলের রান তিনশ পার হওয়ার সম্ভাবনা জাগলেও তা পার হয়নি।
তিন টেস্টে গড় মাত্র ২১ হলেও সৌম্য ক্রিকেটের সব চেয়ে দীর্ঘ সংস্করণ টেস্টের জন্য নয়া তারকা হতে যাচ্ছেন। কিন্তু দলে থাকলে তিনি ব্যাট করতে আসছেন সাত নম্বরে। এ ব্যাপারে নির্বাচকদের উদ্দেশ্য করে প্রতিবেদনে লেখা হয়, অবশ্যই উচিত তার ব্যাটিং অর্ডারে উপরে নিয়ে আসা। এতে করে, সৌম্য একাধারে বলের মেধা ও গুনাগুন বিচার করে দেখে শুনে খেলতে পারবেন, আবার দলের প্রয়োজনে এলোপাথারি ভাবে মেরেও খেলতে পারবেন। এছাড়াও সৌম্য তার খেলার এই ধরণ ধরে রাখতে পারলে অচিরেই শেবাগের মত ক্রিকেট বিশ্বে নিজের অবস্থান গড়ে নিতে পারবে। প্রতিবেদনে সৌম্যের সাথে শেবাগের তুলনা করে বলা হয়, ওয়ানডেতে সৌম্যের গড় ৪৯ এবং স্ট্রাইকরেট ১০২.৫১। তার সংগৃহীত রানের বেশির ভাগই এসেছে চার-ছক্কা থেকে। আর এই অসাধারণ পারফরম্যান্সের কারণ তিনি ওয়ানডেতে ইনিংসের উদ্বোধন করতে আসেন। যা তাকে আরো নির্ভয় হয়ে খেলতে সাহায্য করে। সৌম্যের পাশাপাশি ভারতের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শেবাগেরও মোট রানের বেশির ভাগ চার-ছক্কা থেকে এসেছে। সৌম্যের সাথে শেবাগের সব চেয়ে বড় মিল, তারা দুজনেই হাতের সাথে চোখের সমন্বয় ঠিক রেখে বলকে মাঠের যেকোন প্রান্তে পাঠাতে পারেন। এছাড়া দুজনেই খেলার ধরণই নির্ভীক।