obdaul

দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ৮ আগস্ট: সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবার আমরা শক্ত হাতে হাল ধরেছি। রাস্তা এবং পরিবহনে শৃংখলা ফিরিয়ে আনাকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। এই চ্যালেঞ্জকে আমাদেরকে মোকাবেলা করতেই হবে। দেশের স্বার্থে জনগণকে বাঁচাতে হবে। আগে হলো মানুষের জীবন, তারপরে জীবিকা। মানুষ বেঁচে না থাকলে জীবিকার সংস্থান করবে কিভাবে।

ঈদের পরের দূর্ঘটনাগুলো আমাদের জন্য চরম লজ্জার বিষয়। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে বিভিন্ন সময়ের যানজট ও দূর্ঘটনাগুলো ম্লান করে দিচ্ছে। এসব থেকে উত্তরণের জন্য আগে আমাদেরকে যানজট ও দূর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে হবে। যদি আমরা রাস্তায় পাখির মত মানুষ মরার মর্মান্তিক দৃশ্যপট বন্ধ করতে না পারি এবং যানজট যদি আমরা মানুষের সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে না পারি তাহলে আমাদের সকল অর্জন বৃথা হয়ে যাবে। রাস্তায় পাখির মতো জনগণ মরে যাবে আর আমরা এটা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবো, তথাকথিত দায়িত্বপালন কররো, এটা হয় না। সবাইকে মিনিংফুল দায়িত্বপালন করতে হবে।

শনিবার দুপুরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পরিদর্শণে এসে গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তায় সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন। তিনি এসময় মহাসড়কে বিভিন্ন পরিবহন চলাচল পর্যবেক্ষণ করেন। এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে গাজীপুর জেলা প্রসাশক এস এম আলম, পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ, সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসেনসহ সড়ক ও জনপথের উর্ধ্বতনকর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, আমাদের আর উন্নয়ন কার্যক্রম যথারীতি চলছে এবং একটি ট্র্যাকে চলে এসেছে। এখন আমাদের দরকার রাস্তা এবং পরিবহনকে শৃংখলায় নিয়ে আনা। আজকে পদ্মা সেতু ও মেট্রো রেল করা হচ্ছে। যানজট নিরসনে আরো দুটো মেট্রো রেলের প্রস্তাব নিয়ে আমি জাইকার কাছে জাপানে গিয়েছি। সেটাও আমরা পজেটিভ সাড়া পেয়েছি। এছাড়া ১৬ তারিখে এলিভেটেড ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে ফিজিক্যাল ওয়ার্ক শুরু হতে যাচ্ছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে ফ্লাইওভার নির্মাণ হয়েছে। এসব কিছু অর্জন বৃথা যাবে যদি আমরা রাস্তায় পাখির মত মানুষ মরার মর্মান্তিক চিত্র এবং যানজট বন্ধ করতে না পারলে। অতীতে বার বার সিদ্ধান্ত হয়েছে কিন্তু পালন হয় নি। কিন্তু এবার কার্যকর হতে শুরু করেছে। প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনায় আমাদের ৯৬টি জাতীয় মহসড়কের মধ্যে ৯০ ভাগ দূর্ঘটনা প্রবন ২২ টি রুটকে চিহ্নিত করে ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে।

মন্ত্রী গাজীপুর জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে আগস্ট মাসের মধ্যে মহাসড়কের পাশ থেকে অপ্রয়োজনীয় বিলবোর্ড সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়ে বলেন, গাজীপুরের মতো এতো বিল বোর্ড দেশের কোথাও নাই। মহাসড়কের পাশে কোন অপ্রয়োজনীয় বিলবোর্ড থাকবে না। আগস্ট মাসের মধ্যে এসব বিলবোর্ড সরানো না হলে সেপ্টেম্বর হতে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। বিলবোর্ডে চেহারা দেখে জনগণ কখনো ভোট দেয় না। ভোট পেতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে এবং তাদের সঙ্গে ব্যবহার ভাল করতে হবে ও ইন্নয়ন কাজ করতে হবে। তাহলেই জনগণ ভোট দিবে। এসব বিলবোর্ডে পাতি নেতা, সিকি নেতা, খেতা নেতা, চাঁদাবাজদেরও ছবি রয়েছে। বিলবোর্ডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির পাশে কোন চাঁদাবাজের ছবি থাকবে না।