1440242304

দৈনিকবার্তা-গাজীপুর,২২ আগস্ট ২০১৫: কালিয়াকৈরে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামের হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে লাশ নিয়ে মিছিল সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নিহতের লাশ তার নিজ বাসভবনে নিয়ে যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।

কালিয়াকৈর থানার ওসি ওমর ফারুক জানান, বাইপাস এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মাঝখানে লাশ রেখে এলাকাবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীরা মিছিল করতে থাকে। প্রায় আধাঘণ্টা পর পুলিশ বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিলে তারা কফিনসহ মিছিল নিয়ে কালিয়াকৈর বাজার এলাকার দিকে যায় এবং সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। এ সময় নেতাকর্মীরা অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন এবং তা না হলে আরও বড় কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান। শুক্রবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় হতাহতদের স্মরণে মিলাদ ও আলোচনা সভা চলাকালে প্রতিপক্ষের লোকজন রফিককে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোহেল ও হোসেন নামে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের বড় ভাই মো. আব্দুল মোতালেব জানান, বিকেলে নিজ বাড়ি উপজেলার টেংরাবাড়ি এলাকার রফিককে দাফন করা হবে।শনিবার দুপুরে উপজেলার সাহেব বাজার বাইপাস মোড়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসী লাশ নিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক মিছিল করে।এতে ওই সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে বলে জানান কালিয়াকৈর থানার ওসি মো. ওমর ফারুক।

গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর শনিবার সকালে দলীয় নেতা-কর্মীরা ও পরিবারের লোকজন লাশ সাহেব বাজার বাইপাস মোড় এলাকায় তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর লাশ নিয়ে মহাসড়কে নামে তারা।ওসি বলেন, “দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির পাশের বাইপাস এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মাঝখানে লাশ রেখে এলাকাবাসী ও দলীয় নেতা-কর্মীরা মিছিল করতে থাকে।পুলিশ গিয়ে বুঝিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা পর বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিলে তারা কফিনসহ মিছিল নিয়ে কালিয়াকৈর বাজার এলাকার দিকে যায়।নিহতের বড় ভাই মো. আব্দুল মোতালেব বলেন, প্রকৃত খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। তা না হলে আরও বড় কর্মসূচি দেওয়া হবে।শুক্রবার বিকালে ওই হত্যাকাণ্ডের পর জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় বঙ্গবন্ধু কলেজ মাঠের ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের জানাই ছিল না, এমন একটি ঘটনা ঘটতে পারে। এমন কিছু চোখে পড়েনি, যার জন্য একজনকে মেরে ফেলতে হবে।খুনিরা যাতে দ্রুত গ্রেপ্তার হয় তার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।