Bogra Pic-31

দৈনিকবার্তা-বগুড়া, ৩০ আগস্ট, ২০১৫: বগুড়ার ধুনটে যমুনা ও বাঙালী নদীতে আবারো পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আবারো অবনতি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, বাঙালী নদীতে অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় নদীর পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

অপরদিকে যমুনা নদীতে বৃহস্পতিবার থেকে পানি কমতে শুরু করে। প্রতিদিনই যমুনার পানি কমে আসছিল। এতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়। রোববার সন্ধ্যা ৬টায় যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত যমুনা নদীতে পানির অবস্থা অপরিবর্তিত ছিল। কিন্তু ১২ ঘন্টায় ৪ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে সন্ধ্যা ৬টায় বিপদসীমার ১৫সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গ্রেজ রিডার আবদুল হামিদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের অভ্যন্তরের ১৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়। গত ২২ আগস্ট থেকে পানিবন্দি হয়ে পড়ে ৩ হাজার পরিবার। অনেক পরিবার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে নদীতে পানি কমতে শুরু করে। হঠাৎ করে রোববার রাত থেকে আবারো নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়।

নিমগাছী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুজাউদৌলা রিপন ও এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ তারেক হেলাল জানান, বাঙালী নদীতে ব্যাপক পানি বৃদ্ধি পেয়ে নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নদীর তীরের বালু চর ডুবে গেছে। শাখা নদী ও খালের মাধ্যমে পানি ছড়িয়ে পড়ছে। কয়েকটি স্থানে ফসলের ক্ষেতে পানি প্রবেশ করেছে। ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল বলেন, বাঁধের ভিতরের গ্রাম গুলোতে বন্যা হয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। পানিবন্দি মানুষ দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। গত কয়েকদিন পানি কমলেও সোমবার সকাল থেকে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।