আবদুর রহমান বদি

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫: অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপন করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)করা মামলায় কক্সবাজার-৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এই অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে শুরু হলো বিচার কাজ।মঙ্গলবার ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহম্মেদ জমাদ্দার বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।এসময় এমপি বদি নিজেকে নিদোর্ষ দাবি করে ন্যায় বিচার দাবি করেন।আদালতে বদির আইনজীবী মামলার দায়থেকে অব্যাহতির আবেদন করে শুনানি করেন।অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৬ অক্টোবর আদেশের দিন ধার্য করেন।প্রায় ১১ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় কক্সবাজারের আলোচিত সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।

কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাংসদ বদির নাম ইয়াবা পাচারের হোতা হিসেবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকাতেও এসেছে।দুদকের উপপরিচালক আবদুস সোবহান গতবছর ২১ অগাস্ট ঢাকার রমনা থানায় সাংসদ বদির বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপনের এই মামলা করেন।২০০৮ ও ২০১৩ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা সম্পদের বিবরণে মিথ্যা তথ্য দেওয়া এবং ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় ক্ষমতাসীন দলের এই নেতার বিরুদ্ধে।

দুদক নোটিসে গতবছর বদি গতবছর ২০ মার্চ সম্পদের যে হিসাব বিবরণী দাখিল করেছিলেন, তাতে নিজের ও সন্তানদের নামে ৫ কোটি ২০ লাখ ১৪ হাজার ৫৩৮ টাকার সম্পদ থাকার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।দুদকের উপ পরিচালক মনজুর মোরশেদ চলতি বছর ৭ মে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন। এ মামলায় জামিনে থাকা বদি মঙ্গলবার কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান। তার পক্ষে শুনানি করেন ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি মাহফিজুর রহমান লিখন। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন কবীর হোসাইন।শুনানি শেষে বিচারক বদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে তার বিচার শুরুর আদেশ দেন। দুদকের করা এই মামলায় গতবছর গ্রেপ্তার হয়ে তিন সপ্তাহ কারাগরেও গিয়েছিলেন আব্দুর রহমান বদি। পরে তিনি হাই কোর্টের অন্তবর্তীকালীন জামিনে মুক্তি পান।গতবছর ৩০ অক্টোবর মুক্ত হওয়ার পর নিজের এলাকায় ফিরে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান আব্দুর রহমান বদি। সে সময় কক্সবাজার পৌঁছে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে মামলা করে কারাগারে পাঠানোর কারণে এলাকায় আমার জনপ্রিয়তা যাচাই হয়েছে এবং উখিয়া-টেকনাফের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছে। আমাকে সারাদেশে ব্যাপকভাবে পরিচয় করে দিয়েছে সাংবাদিকরা। তাই সাংবাদিকদের প্রতি স্যালুট।