Pakistan+1

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫: পাকিস্তানের পেশোয়ারে বিমানবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় ১৩ জন সন্ত্রাসীসহ অন্ততপক্ষে ৩৩ জন নিহত হয়েছেন।শুক্রবার সকালে বাদাবের এলাকার ইনকালাব রোডে বিমান বাহিনীর ওই ঘাঁটিতে হামলা হয় বলে পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডনের অনলাইনের এক খবরে বলা হয়।নিহতদের মধ্যে ১৬ জনই একটি মসজিদে সকালের নামাজ পড়তে এসেছিলেন।হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় সেনা বাহিনীর একজন ক্যাপ্টেনও নিহত হয়েছেন।পাকিস্তান আইএসপিআর-এর ডিজি মেজর জেনারেল আসিম বাজওয়া তার ট্যুইটারে বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে ১৩ হামলাকারী নিহত হয়েছেন। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে বাকি হামলাকারীদের ধরতে তল¬াশি চলছে।তিনি আরও বলেন, তবে এটি পরিষ্কার নয়, পেশোয়ারের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত বাদাবের বিমান ঘাঁটির মসজিদে নিহতরা সামরিক বাহিনীর সদস্য নাকি বেসামরিক মানুষ।

ট্যুইটারে বাজওয়া বলেন, সন্ত্রাসীরা দুটি পথ দিয়ে ঘাঁটির ক্যাম্পে প্রবেশ করেন। একটি দল মসজিদে ঢুকে সকালের নামাজ পড়তে আসাদের ওপর হামলা চালালে ১৬ জন শাহাদাত বরণ করেন।তিনি রক্তমাখা লাশের ছবিও প্রকাশ করেন।পাকিস্তান আইএসপিআর-এর ডিজি মেজর জেনারেল আসিম বাজওয়ার বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্ততপক্ষে ১০ জন বন্দুকধারী গার্ড পোস্টে হামলা চালিয়ে ঘাঁটিতে ঢুকে পড়ে।সকালে হামলা রুর পরপরই কুইক রিঅ্যাকশন ফোর্সের (কিউআরএফ) বিপুল সংখ্যক সদস্যকে ওই ঘাঁটিতে ঢুকতে দেখা যায়। আশেপাশের সড়কগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়। গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায় দূর থেকেও।স্থানীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওতে বিমান ঘাঁটির ওপর দিয়ে হেলিকপ্টারে টহল চলতেও দেখা যায়।প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, হামলাকারীদের পরনে কালো মিলিশিয়া পোশাক ও সাদা জুতা ছিল।

আসিম বাজওয়া জানিয়েছেন, গোলাগুলিতে অন্তত দশজন সেনা সদস্য আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্তত দুইজন অফিসার রয়েছেন।তবে সব মিলিয়ে অন্তত ২২ জনকে পেশোয়ার সিএমএইচ ও লেডি রিডিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন।ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের তেহরিক-ই-তালেবানের মুখপাত্র মুহাম্মদ খুরাসানি গণমাধ্যমে ই-মেইল পাঠিয়ে এই হামলার দায় স্বীকার করেছেন। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে এই পেশোয়ারেই সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি স্কুলে হামলা চালিয়ে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীকে হত্যা করে তালেবান জঙ্গিরা।