b6c36309ecd345a5239252373408347b-992c436bd12a91c08611912acda4fb89-sim-cards-1

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫: একটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে ১৪ হাজার ১১৭টি মোবাইল সিম কার্ড নিবন্ধন করা হয়েছে। বর্তমানে চলমান সিমের নিবন্ধন যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় এ তথ্য উঠে এসেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। মঙ্গলবার মঙ্গলবার সচিবালয়ে সিম নিবন্ধনের চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এর আগে মন্ত্রণালয়ে মোবাইল অপারেটরদের প্রধান নির্বাহী, নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এ বিষয়ে বৈঠক হয়।

সোমবার পর্যন্ত অপারেটররা গ্রাহকদের যে তথ্য দিয়েছে তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি বলেন, এমন আরও তিনটি এনআইডি পাওয়া গেছে যেগুলোর বিপরীতে ১১ হাজার ৮৬৬, ১১ হাজার ৩২৮ ও ৬ হাজার ১৭৯টি সিমের নিবন্ধন হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন অপারেটরের সিম রয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত এনআইডির কাছে এক কোটি সিমের নিবন্ধন তথ্য জমা দিয়েছে মোবাইল অপারেটররা। এর মধ্যে গ্রামীণফোন ২২ লাখ, বাংলালিংক ২৩ লাখ ৫৫ হাজার, রবি ১৮ লাখ, টেলিটক ১৬ লাখ, এয়ারটেল ১৪ লাখ, সিটিসেল ৪ লাখ সিমের নিবন্ধন তথ্য জমা দিয়েছে। দেশে বর্তমানে চালু থাকা মোট ১২ কোটি ৮৭ লাখ সিমের বিপরীতে পয় আট শতাংশ সিমের তথ্য পাওয়া গেছে।প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, যে এক কোটি সিমের তথ্য জমা পড়েছে এর মধ্যে ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮০টি সিম সঠিক জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে নিবন্ধন করা হয়েছে। আর বাকি ৭৫ লাখের ওপর সিম সঠিকভাবে নিবন্ধন করা হয়নি।

আগামী ১ নভেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক বা আঙুলের ছাপ পদ্ধতি চালু করার কথা জানান তারানা হালিম। আর ১৬ ডিসেম্বর থেকে এই পদ্ধতি চূড়ান্তভাবে চালু হবে। একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে যাদের একাধিক সিম আছে তারা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ২০১২ সালের আগে যেসব সিম নিবন্ধন করা হয়েছে সেসব সিমের মালিকানা নিশ্চিত করতে মোবাইল অপারেটররা গ্রাহকদের খুদে বার্তা পাঠাবে। এতে গ্রাহকের নাম, সঠিক জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখের তথ্য জানতে চাওয়া হবে।গ্রাহকের হাতে থাকা প্রায় ১৩ কোটি সিমের মধ্যে এক কোটির তথ্য সরকার হাতে পেয়েছে, যার ৭৫ শতাংশই সঠিকভাবে নিবন্ধিত নয়’ বলে জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত প্রায় এক কোটি গ্রাহকের নিবন্ধন যাচাই করা হয়েছে।

এর মধ্যে সঠিকভাবে নিবন্ধন হয়েছে মাত্র ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮০টি। প্রতিমন্ত্রীর এই হিসেবে সঠিকভাবে নিবন্ধিত হয়েছে ২৫ শতাংশের মত সিম।ভুয়া পরিচয়ে অথবা নিবন্ধন না করে সিম কিনে নানা অপরাধে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়তে থাকায় সম্প্রতি গ্রাহকদের তথ্য যাচাই ও সিম পুনঃনিবন্ধনের নির্দেশনা জারি করে সরকার।ওই সিদ্ধান্তের পর মোবাইল গ্রাহকদের সিমের তথ্য যাচাইয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ভাণ্ডার ব্যবহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়।আর দেশের সবচেয়ে বড় অপারেটর গ্রামীণফোন তাদের পাঁচ কোটির বেশি গ্রাহকের মধ্যে মাত্র ২২ লাখের নিবন্ধনের তথ্য দিয়েছে, যা গ্রাহক সংখ্যার ৪ দশমিক ০৮ শতাংশ,প্রতিমন্ত্রী তারানা বলেন, ভুয়া এনআইডি দিয়ে সিম তোলা এবং এক এনআইডি দেখিয়ে বহু সিম কেনার আরও বেশ কিছু ঘটনা নিবন্ধন যাচাই করতে গিয়ে ধরা পড়েছে।তিনটি এনআইডি পাওয়া গেছে, যেগুলোর বিপরীতে ১১ হাজার ৮৬৬, ১১ হাজার ৩২৮ ও ৬ হাজার ১৭৯টি সিমের নিবন্ধন হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন অপারেটরের সিম রয়েছে।