press_club_BG1_798272837

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৯ অক্টোবর ২০১৫: তামাকজাত দ্রব্য সেবনে প্রতিবছর বাংলাদেশে ৫৭ হাজার মানুষ মারা যান। আর পঙ্গু হয়ে জীবন-যাপন করতে হয় আরও তিন লাখ ৮২ হাজার মানুষের। তামাক ব্যবহারের কারণেই দুই কোটি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে তামাক নিয়ন্ত্রণ, অসংক্রমক রোগ প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব তথ্য জানান।বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এ সভার আয়োজন করে।বক্তারা বলেন, তামাক ব্যবহার জনিত কারণে মানুষের মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এ সমস্যা প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত করা গেলে ৬০ ভাগ রোগীকে সম্পূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব। কিন্তু যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া যায় মাত্র কয়েক হাজার রোগীকে।

অন্যদিকে, অসংক্রামক রোগ সৃষ্টির কারণ সম্পর্কে বক্তারা বলেন, দ্রুত নগরায়ন বৃদ্ধি, পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়ামের অভাব, অতিরিক্ত মোটা হওয়া, অনিয়ন্ত্রিত মাদক সেবন ও ধূমপান এবং তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার, পরিবেশ দূষণসহ আরও নানা কারণে হয়ে থাকে।বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে প্রতিরোধ ব্যবস্থা প্রাধান্য পাচ্ছে না অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, প্রকৃতপক্ষে ৮০ শতাংশ অপরিণত হৃদরোগ, স্ট্রোক ও ডায়াবেটিস এবং ৪০ শতাংশ ক্যান্সার প্রতিরোধযোগ্য। অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।

তামাক ব্যবহার বন্ধ ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে আইন ও নীতি প্রণয়ন, অবকাঠামো তৈরি বা পরিবর্তন, জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহণের কথাও বলেছেন বক্তারা।আলোচনা সভায় তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়ক সাইফুদ্দিন আহমেদ, কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম, জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মোজাহেরুল হক, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।