press_club__12_BG_627243419

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৯ অক্টোবর ২০১৫: দেশের ক্রমবর্ধমান ডিমের চাহিদা মেটানোর জন্য স্বল্পমূল্যে ডিম উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে পোল্ট্রিকে করমুক্ত খাত হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি শিল্প সমন্বয় কমিটি (বিপিআইসিসি)।শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ২০তম বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে বিপিআইসিসি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সংগঠনটির নেতা ও ব্যবসায়ীরা এ দাবি জানান।বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশেও বাঙালি হবে স্বাস্থ্যবান, প্রতিদিন ডিম খান’ প্রতিপাদ্যে বিশ্ব ডিম দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে সকালে বাংলাদেশ পোল্ট্রি শিল্প সমন্বয় কমিটি (বিপিআইসিসি) একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি করেছে, পরে তারা আলোচনা সভায় মিলিত হয়।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ পোল্ট্রি শিল্প সমন্বয় কমিটির (বিপিআইসিসি) আহ্বায়ক মসিউর রহমান বলেন, দেশে ডিমের মোট চাহিদার প্রায় ৯৫ শতাংশ বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হয়। দেশে বর্তমানে ডিমের দৈনিক উৎপাদন প্রায় ২ কোটি। ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ডিমের দৈনিক চাহিদা হবে প্রায় ৪০-৪৫ কোটি। এ বিশাল চাহিদা পূরণে পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়নে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বিত সহযোগিতা দরকার।তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে পোল্ট্রি শিল্পের উপর আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর আরোপ করার ফলে পোল্ট্রি ফিড, বাচ্চা, ডিম ও মুরগির মাংসের উৎপাদন খরচ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পোল্ট্রিকে করমুক্ত খাত হিসেবে ঘোষণার বিকল্প নেই।মসিউর বলেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক জনসচেতনতা ও আর্থিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশে ডিমের চাহিদা অনেক বেড়েছে। কিন্তু ডিম সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার কারণে এবং সঠিক প্রচার ও পরিকল্পনার অভাবে ডিমের কাঙ্ক্ষিত চাহিদা বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না।

আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি প্যাথলজির প্রফেসর ড. এ এস মাহফুজুল বারী। আরও বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অজয় কুমার রায়, বিপিআইসিসির যুগ্ম-আহ্বায়ক সামছুল আরেফিন খালেদ, স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং হেড অব মেডিসিন প্রফেসর ডা. মো. বিল্লাল আলম, অধ্যাপক ড. মোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।মূল প্রবন্ধে প্রফেসর ড. এ এস মাহফুজুল বারী বলেন, ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর ও নিরাপদ একটি খাদ্য। মাত্র দু’টি ডিম নারীর দৈনিক প্রোটিন চাহিদার এক চতুর্থাংশ পূরণ করতে পারে। শুধু তাই নয়, শর্করা কমিয়ে প্রতিদিন ডিম খেলে মাসে তিন পাউন্ড পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব।

সমাজে ডিম সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেকেই মনে করেন ডিম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে- হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। এমন ধারণা একেবারেই অমূলক। ডিমে কোলেস্টেরল আছে, তবে তা ক্ষতিকর নয় বরং উপকারি। আধুনিক বিজ্ঞান বলছে, সপ্তাহে চারটি ডিম খেলে টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৩৭ শতাংশ কমে যায়। সপ্তাহে ছয়টি ডিম খেলে স্তন ক্যানসারের সম্ভবনা হ্রাস পায় ৪০ শতাংশ।