দৈনিকবার্তা-ঝিনাইদহ, ১২ অক্টোবর ২০১৫: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়নের ভোমরাডাঙ্গা গ্রামে বিদ্যালয়ের নামকরণ নিয়ে বিরোধের জের ধরে ত্রি-মুখী সংঘর্ষে ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ১০জন আহত হয়েছে।সোমবার সকাল ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা গ্রামের শফি উদ্দিন, বাবুল হোসেন, রিয়াজুল ইসলাম, ফেলা, সাব্বির, শাহিন, ওমর আলী, সমির আলী ও বাটিকাডাঙ্গা গ্রামের সব্দুল হোসেনের পরিচয় পাওয়া গেছে। বাকীদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে শফি উদ্দিন, রিয়াজুল ইসলাম ও সব্দুল হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ৩ জন ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ৫ জনকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের বিসিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ নিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি ইয়াকুব হোসেন জোয়ার্দ্দার ও প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলী ওরফে ইকা’র দীর্ঘদিন ধরে রেষারেষি চলছিল। এরই জের ধরে সোমবার সকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সমর্থক ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের খোকনের নেতৃত্বে লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা বাজারে হামলা চালায়। এ সময় বাজারের লোকজন প্রতিরোধ করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। ঘটনার সংবাদ পেয়ে কোটচাঁদপুরের দোড়া ইউনিয়নের লক্ষিপুর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায়। এতে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইয়াকুব হোসেন জোয়ার্দ্দার অভিযোগ করেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলী ওরফে ইকা ভোমরাডাঙ্গা প্রামের খোকন মসিয়ার মাষ্টার, ইব্রাহিম ও মহিদুল স্কুলটির স্থানের নাম করণ নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি করছে। তাদের ইন্ধনেই আমাদের উপর পুলিশ দিয়ে হামলা চালায় এবং দোকার ভাংচুর করে লুটপাট চালায়। কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহম্মেদ কবীর হোসেন জানান, সতের বছর আগে ভোমরাডাঙ্গা গ্রামে প্রতিষ্ঠিত বিসিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ নিয়ে আগে থেকে তিন গ্রামের মানুষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। সেই বিরোধের সূত্র ধরে সোমবার সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ৯ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পরিস্থিতি পুলিশের সম্পুর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।