news_img

দৈনিকবার্তা-সিলেট, ২১ অক্টোবর ২০১৫: আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার তিন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে৷ সিলেটের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবু্যনালে সাক্ষ্যগ্রহণের ধার্য তারিখে আবদুল মতিন,আবদুল কাইয়ুম ও ঈমান আলী নামের তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে দুই দিনের সাক্ষ্য নেওয়া শুরু হয়েছে৷ ট্রাইবু্যনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি ( স্পেশাল পিপি) কিশোর কুমার কর জানান, এ মামলায় সাক্ষী ১৭১ জন৷ গত ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী হবিগঞ্জের সাংসদ আবদুল মজিদ খান সাক্ষ্য দেওয়ার পর বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই দিনব্যাপী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেছিলেন আদালত৷ ধার্য করা তারিখে তিনজনের সাক্ষ্য নেওয়া শুরু হয়৷

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যেরবাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন৷ এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে সাংসদ আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে হবিগঞ্জ থানায় দুটি মামলা করেন৷ দীর্ঘ ১০ বছর পর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে গত ১৩ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে হত্যা মামলার বিচার-প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ আলোচিত এ ঘটনায় প্রথম দফায় ২০০৫ সালের ২০ মার্চ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ১০ জনকে আসামি করে হবিগঞ্জ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়৷ ২০১১ সালের ২০ জুন সিআইডি দ্বিতীয় পর্যায়ে তদন্ত করে নতুন করে চারদলীয় জোট সরকার আমলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা লুত্ফুজ্জামান বাবর ও নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ জঙ্গি মুফতি হান্নানসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়৷ সর্বশেষ গত বছরের ১৩ নভেম্বর তৃতীয় পর্যায়ে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি৷

অভিযোগপত্রে নতুন করে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বিএনপি নেতা জি কে গউছ, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীসহ নয়জনকে আসামি করা হয়৷ সব মিলিয়ে এ মামলায় ৩২ জনকে আসামি করা হয়৷ এঁদের মধ্যে লুত্ফুজ্জামান বাবর, আরিফুল হক, জি কে গউছ, মুফতি হান্নানসহ ১৪ জন কারাগারে রয়েছেন৷ আটজন জামিনে আছেন৷ বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীসহ ১০ জন পলাতক৷ চলতি বছরের ২১ জুন মামলাটি হবিগঞ্জ আদালত থেকে সিলেটের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবু্যনালে স্থানান্তর করা হয়৷ এরপর আটবার অভিযোগ গঠনের তারিখ বদল হয়৷ অভিযুক্ত হওয়ায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গত ৭ জানুয়ারি এক আদেশে আরিফুল ও গউছকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে৷ আরিফুল হক অসুস্থ থাকায় আদালতে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাঁর পক্ষে আইনজীবীর হাজির থাকার বিষয়টি মঞ্জুর করেছেন আদালত৷ আরিফুল বর্তমানে ঢাকায় আদালতের নির্দেশে কারা হেফাজতে উন্নত চিকিত্‍সা নিচ্ছেন৷